বগুড়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত সন্দেহভাজন জঙ্গি ইব্রাহীম গোলাম তারেক ওরফে রিপনের লাশ নেবেন না বলে জানিয়েছেন তার বোন।
Published : 31 Aug 2016, 08:37 PM
বগুড়ার শেরপুরে সোমবার নিহত হন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার এনামুল হকের ছেলে খালিদ হাসান ওরফে বদর মামা (৩০) এবং রাজশাহী নগরের পাঠানপাড়ার মৃত গোলাম সবুর ওরফে বাবলার ছেলে ইব্রাহীম গোলাম তারেক ওরফে রিপন (২৫)।
পুলিশের দাবি, খালিদ হাসান জেএমবির উত্তরাঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান, যিনি দিনাজপুরে ইতালির নাগরিক পিয়েরো পারোলারি হত্যাচেষ্টা এবং কান্তজিউ মন্দিরে হামলা মামলার ঘটনায় জড়িত।
এছাড়া রিপনের বাসায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যার পরিকল্পনার বৈঠক হয়েছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।
রাজশাহী নগরীর পাঠানপাড়ার ১৬৯ নম্বর বাড়িটি রিপনের। বাবা গোলাম সবুর ওরফে বাবলা মারা যাওয়ার পর তার মা অন্যত্র বিয়ে করেছেন। এখন বাড়িতে রয়েছেন চাচা আবদুস সালাম। চাচা পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতেই থাকেন।
একমাত্র বোন সামিনা ফেরদৌসের বাড়ি নগরীর দরগাহপাড়া এলাকায়।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার সুশান্ত চন্দ্র রায় বলেন, জঙ্গি রিপনের বাবা বেঁচে নেই। তার মা অন্য জায়গায় বিয়ে করে চলে গেছেন। রিপনের একমাত্র অভিভাবক তার বোন। তিনি ভাইয়ের লাশ নিতে চান না।
এসিপি সুশান্ত আরও জানান, গত সোমবার রিপন বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রিপনের বোনসহ তার স্বামী হাফিজুর রহমান, চাচা আবদুস সালাম ও চাচাত ভাই ইউসুফ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
“তখন তারা পুলিশকে রিপনের লাশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। পরে রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।”
সামিনা ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বোন হিসেবে ভাইয়ের জন্য মন কাঁদছে, কিন্তু কিছু করার নেই। কোনো দেশবিরোধী জঙ্গির লাশ গ্রহণ করতে পারি না। লাশ গ্রহণ করলে সমাজের মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না। আমরা রাষ্ট্রের কাছে ছোট হয়ে যাব। আমরা আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি, কেউ লাশ নেওয়ার পক্ষে না।”
সম্প্রতি ঢাকার গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত কয়েকজন জঙ্গির লাশ তার স্বজনরা নিতে অস্বীকার করেছেন।