‘শিক্ষার্থীর শাস্তির প্রতিবাদ করায়’ ঠাকুরগাঁও সদরে একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিভাবককে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Published : 22 Aug 2016, 08:21 PM
দেবীপুর ইউনিয়নের বালুচর উচ্চ বিদ্যালয়ে রোববার এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আজহার আলীর শাস্তির দাবিতে তার কক্ষসহ সব শ্রেণিক্ষকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী।
মারধরে আহত শৈলেন্দ্র নাথকে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বাসায় ফিরে বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে ঋতু পর্ণার বাবা শৈলেন্দ্র নাথ, দিপিকার বাবা মনোহরি চন্দ্র ও দিতির বাবা ধৈর্য রাম শিক্ষার্থীদের মারপিটের কারণ জানতে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে যান।
সেখানে অভিভাবকদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক আজহার আলী অভিভাবকদের উপর চড়াও হন এবং শৈলেন্দ্র নাথকে চড়থাপ্পর মারেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক তাকে গলা ধরে দেয়ালে ধাক্কা দেন।
পরে অন্য অভিভাবকরা তাকে উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এছাড়া প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়ে সোমবার দুপুরে অভিভাবকরা জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
অভিভাবক তোজাম্মেল হক বলেন, এই শিক্ষক এর আগেও অনেক শিক্ষার্থীকে মারপিট করেছেন। তাই তার শাস্তি হওয়া দরকার।
কুমারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বর্মন বলেন, শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনাটি নতুন নয়। এর আগেও এই শিক্ষক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীকে মারপিট করেছেন এবং তিনি (মনোরঞ্জন) অনেক বিষয় মীমাংশা করেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মারপিটের ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক আজহার আলীর বড় ভাই আশরাফুল হক বলেন, তার ভাইয়ের মাথায় সমস্যা আছে। এ কারণে প্রায় সময় তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটান।
প্রধান শিক্ষক আজহার আলী শিক্ষার্থীকে মারপিটের ঘটনাটি স্বীকার করলেও অভিভাবককে মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. এম আর রেজা বলেন, শৈলেন্দ্র নাথ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার মাথা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
ঠাকুরগাঁও জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী সলিম উল্লাহ বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।