নড়াইলে জোড়া খুনে ২৩ জনের যাবজ্জীবন

একুশ বছর আগের জোড়া খুন মামলায় ২৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে নড়াইলের একটি আদালত।

নড়াইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2016, 08:23 AM
Updated : 31 July 2016, 11:33 AM

রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মুন্সী এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পারবিষ্ণুপুর গ্রামের মো. নজরুল ইসলাম শেখ ওরফে মনির, মিজানুর রহমান শেখ, মিল্টন শেখ,  মো. নজরুল, সেলিম শেখ, হারুন শেখ, বাশার বিশ্বাস, নওয়া গ্রামের হেনডী শেখ, ছিলিমপুরের আসাদ শেখ, দেওয়াডাঙ্গার মফিজ সরদার, তিতু সরদার, শামছুর রহমান ওরফে ডাবলু, দেওয়াডাঙ্গার রফি সরদার, আলাল সরদার, নওয়াগ্রামের বাকের মোল্যা ওরফে বাছের মোল্যা ও কালাম মোল্যা।

আরও রয়েছেন খুলনার দিঘলিয়ার সোনাকুড় গ্রামের মিনহাজ সিকদার, বড়মহিষদিয়ার আমজাদ হোসেন ওরফে বাচ্চু, সৈয়দ হানেফ আলী, গোলাম শেখ, বালাম শেখ, আব্দুল হাই ও পারমচন্দ্রপুরের শহিদুল মোল্যা।

আসামিদের মধ্যে তিতু সরদার, শামসুর রহমান ওরফে ডাবলু, বালাম শেখ ও বাকের মোল্যা ওরফে বাছের মোল্যা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি এমদাদুল ইসলাম।

একইসঙ্গে প্রত্যেককে ছয় হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

এছাড়া মামলা চলার সময় ছয় আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মামলার নথির বরাত দিয়ে পিপি জানান, ঘের ব্যবসায়ী খুলনার দৌলতপুর এলাকার মো. শাহীন ও তেরখাদার উপজেলার বারাসাত গ্রামের এস এম আনোয়ারুল আজাদ লিচু বন্ধু ছিলেন। ১৯৯৫ সালের ১৪ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুই বন্ধু কালিয়া উপজেলার মহিষখোলার মাছের ঘের থেকে খুলনায় ফেরার জন্য গাজীরহাট বাজারে অপেক্ষা করছিলেন।

“পূর্ব শত্রুতার জেরে এ সময় খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারমচন্দ্রপুর গ্রামের আকবর হোসেন মোল্যার নেতৃত্বে আসামিরা তাদেরকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।”

ওই ঘটনায় লিচুর ভাই এস এম আনোয়ারুল বাশার বাদী হয়ে ১৫ এপ্রিল ২৯ জনকে আসামি করে খুলনার তেরখাদা থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামলাটি কালিয়া থানায় স্থানান্তর করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নড়াইলের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) শহিদুল আলম চৌধুরী ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন বলে জানান পিপি।