রোববার সকালে সদর উপজেলার চাকলা হাট ইউনিয়নের সিংরোড নায়েকপাড়া গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় রোববার রাতে কিশোরীর দিনমজুর বাবা থানায় কায়মলকে আসামি করে মামলা করেন। এরপরই পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।
“গভীর রাতে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে কায়মলকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি মোমিনুল ইসলাম জানান,রোববার সকালে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৩) প্রতিদিনের মতো ঘরের বারান্দায় বসিয়ে রেখে দিনমজুর মা-বাবা কাজে চলে যান। মেয়েটির একমাত্র ছোট ভাইটিও বাড়ির বাইরে খেলতে গিয়েছিল।
“সেদিন বেলা ১১টার দিকে কিশোরীর মা মেয়েকে খাবার খাওয়াতে বাড়ি গেলে প্রতিবেশী কায়মল ইসলামকে (৪৫) তাদের বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন।
“বাসায় গিয়ে মেয়েকে ইশারায় জিজ্ঞাসা করে ধর্ষণের ঘটনা জানতে পারেন তিনি।”
কিশোরীর মা সাংবাদিকদের বলেন, “প্রতিবন্ধী মেয়ের ভাতার টাকা দিয়ে তার চিকিৎসা চালানো হয়। দিনমজুরি করে তাদের সংসার চলে।”
কায়মলকে সোমবার দুপুরে হাজির করা হলে আদালত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি মোমিনুল জানান।