সুন্দরবনে আঠারো দিন আগে অগ্নিকাণ্ড বনজীবী ও স্থানীয়দের অসতর্কতায় হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়েছে।
Published : 13 Apr 2016, 04:17 PM
গত ২৭ মার্চ চাঁদপাই রেঞ্জের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্প এলাকায় আগুন ধরে। পরদিন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা গাজী মতিয়ার রহমান বলেন, গত ৪ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলামের কাছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত দলের অন্য সদস্যরা ছিলেন চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা গাজী মতিয়ার রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ।
তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মতিয়ার রহমান বলেন, বনে আসা মানুষের অসতর্কতায় ফেলে দেওয়া বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে ওইদিন (২৭ মার্চ) অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
“আগুনে এক একরের মতো বনভূমি পুড়ে গেছে এবং এতে গুল্ম জাতীয় গাছ পুড়ে একলাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।”
ভবিষ্যতে অগ্নিকাণ্ড এড়ানোর লক্ষ্যে প্রতিবেদনে কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
“সুপারিশের মধ্যে রয়েছে বনকর্মীদের সবসময় সতর্ক অবস্থায় থাকা, বনজীবীসহ অন্যান্য মানুষের বনে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখা, বনের স্থানে স্থানে কূপ খনন করে পানির ব্যবস্থা করা যাতে আগুন নেভানোর কাজে তাৎক্ষণিকভাবে পানি পাওয়া যায়।”
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশের নিচু এলাকায় বসন্তের শেষ ও গ্রীষ্ম শুরুতে এর আগেও বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
এ সময় তীব্র বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে; নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হয়।
২০১৪ সালে চাঁদপাই রেঞ্জের গুলিশাখালী ক্যাম্পসংলগ্ন পয়ষট্টি ছিলা এলাকায় বনে আগুন লেগে অন্তত পাঁচ একর বনভূমি পুড়ে যায়। ২০১১ সালে ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ক্যাম্প এলাকায় পোড়ে দুই একর বনভূমি।