কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যার ‘সুষ্ঠু তদন্তের জন্য’ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার বাবা ইয়ার হোসেন।
Published : 30 Mar 2016, 02:33 PM
আদালতের নির্দেশে বুধবার কবর থেকে তনুর লাশ উত্তোলনের পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা বলেন তিনি।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় নিজের বাড়ির কয়েকশ গজের মধ্যে ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী তনুর লাশ পাওয়া যায়। তখন ময়নাতদন্তের পর তনুকে তার মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুরে দাফন করা হয়।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী তনু কলেজ থিয়েটারে যুক্ত ছিলেন।
বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে কুমিল্লা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন নাহারের উপস্থিতিতে মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে তার লাশ তোলা হয়। এরপর পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
হত্যাকাণ্ডের ১০দিনেও কাউকে আটক করতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া তদন্তের নামে নিরাপরাধ কাউকে আটক না করারও অনুরোধ জানান।
তার উপর প্রশাসনের চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে তনুর বাবা বলেন, “না কোনো চাপ নেই। মেয়েকে হারিয়ে মন ভেঙ্গে গেছে, শরীরও খারাপ; তাই কোথাও বের হইনি।”
মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর থেকে তনুর বাবা-মা, দুই ভাই ও চাচাত বোনকে শুক্রবার কুমিল্লায় র্যাব জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
হত্যার ঘটনায় তনুর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। এখন ওই মামলাটির তদন্ত করছে সিআইডি।
সেনানিবাসে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় তার সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে অনেকের পক্ষ থেকে সংশয় প্রকাশ করা হচ্ছে; যদিও সেনা কর্তৃপক্ষ তদন্তে বেসামরিক প্রশাসনকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।