হাফসা আক্তার রূপা নামের পাঁচ বছরের মেয়েটি উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের গিরদা নজরুল ইসলাম বাবু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ত।
বৃহস্পতিবার তাকে অপহরণের পর সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল পরিবারের কাছে।
রূপাদের বাসা বান্টি চৌধুরীপাড়া এলাকায়। তার বাবা হযরত আলী মালয়েশিয়ায় থাকেন।
রাত ২টার দিকে বাড়ির ২০০ গজ দূরে রূপার লাশ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয় বলে আড়াইহাজার থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান।
তিনি বলেন, “অপহরণকারীরা ৫/৬ জন ছিল। তাদের মধ্যে ফজলে রাব্বি নামে একজনকে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ধরা হয়েছে। সে মুক্তিপণের টাকা চেয়ে ফোন করেছিল।”
পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশে খেলা করছিল রূপা। সেখান থেকেই সে নিখোঁজ হয়।
এরপর সন্ধ্যার দিকে গিরদা বাজারের একটি ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে ফোন করে অপহরণকারীরা সাড়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলে রূপার দাদী সাফিয়া বেগম জানান।
অপহরণকারীরা বিষয়টি পুলিশকে জানাতে নিষেধ করে এবং মুক্তিপণ না দিলে রূপাকে হত্যার হুমকি দেয়।
ওসি বলেন, “রূপার পরিবার বিষয়টি থানায় জানালে আমরা অভিযান শুরু করি। এরই মধ্যে রাত ২টার দিকে লাশ পাওয়া যায়।”
রূপাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মেয়েটির লাশ মর্গে পাঠানো হয়।