রংপুরে মাজারের খাদেম রহমত আলীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্থানীয় দুই জামায়াত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 12 Nov 2015, 12:50 PM
গ্রেপ্তারকৃতরা মাজার প্রাঙ্গণে ওরশ শরীফের বিরোধিতা করে আসছিলেন বলে নিহতের স্বজনরা দাবি করছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে রহমত আলীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
চৈতার মোড়ে রহমত আলীর একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। সেখান থেকে প্রায় ৪০০ গজ দূরে মজকুরনীপাড়ায় তার বাড়ি।
কাউনিয়া থানার ওসি এ বি এম জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বুধবার ভোরে মধুপুর এলাকার বাসিন্দা ‘একাত্তরের রাজাকার কমান্ডার’ আব্দুস ছাত্তার মাওলানার ছেলে মোর্শেদ আলী (৩৬) ও ভাতিজা শহিদুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে নিহত রহমত আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেছেন। তবে, তদন্তের সার্থে আসামিদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানান ওসি।
ওসি জাহিদুল বলেন, রহমত আলী ‘সহজ-সরল প্রকৃতির’ লোক ছিলেন। এলাকায় তার কোনো শত্রু ছিল বলে তদন্তে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জামায়াত নেতারা ওরশ বন্ধের হুমকি দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহতের ভাতিজা আইনজীবী ফেরদৌস ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রহমত আলী আমার আপন চাচা। বাড়ির কাছে আমার দাদা আব্দুস সাত্তারের নামে মাজার শরীফ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
“চাচা ওই মাজারের খাদেম ছিলেন। আগামী ২১ নভেম্বর দাদা আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতিবছর মৃত্যুবার্ষিকীতে মাজার প্রাঙ্গণে ওরশ শরীফের আয়োজন করা হয়। এবারও প্রস্তুতি চলছিল।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কাউনিয়া উপজেলা ইউনিট কমান্ডার মোহাম্মদ সুরুজ্জামান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে আব্দুস ছাত্তার মাওলানার নামে বাহাত্তর সালে সাতটি মামলা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ছাত্তার এলাকায় ফিরে আবার জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।