পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে তিন জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় তিন-চার হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
Published : 26 Aug 2015, 08:08 PM
রাজমঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনায় নিহত আলাল উদ্দিন মেম্বারের ভাই রানা শেখ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে সাঁথিয়া থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান জানান।
বুধবার দুপুরে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে সিএনবি মোড়ে ছেলেধরার অভিযোগ তুলে শত শত লোক তিন জনকে পিটিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার আলাল উদ্দিন মেম্বার (৫০), নাটোরের আসলাম (৪২) এবং আবু বকর নিহত হন। যারা পরস্পর আত্মীয় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি নিহতদের পরিবারের।
নিহত আসলামের ছেলে মিরাজ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার বাবা, খালু ও মামা ব্যবসার মালামাল কিনতে মঙ্গলবার পাবনার বেড়া সিএন্ডবি সংলগ্ন চতুরহাটে আসছিলেন।
“কাদের সঙ্গে তারা ব্যবসা করতেন আমাদের জানা ছিল না। তবে ব্যবসায়িক কারণেই পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।”
নিহত আবু বকরের স্ত্রী মসিরন খাতুন বলেন, “আমার স্বামী, দুলাভাই ও ভাইকে কারা হত্যা করেছে কিছুই বলতে পারব না।
“ব্যবসার মালামাল কেনার জন্যে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আবু বকর বাড়ি থেকে বের হয়। আমার সঙ্গে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার কথা হয়েছে, এরপর থেকে কিছু জানি না।”
ব্যবসায়িক কারণেই তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন মসিরন।
নিহত আলাল উদ্দিন মেম্বরের ভাতিজা শাহিন আলম বলেন, “তারা কখনওই কোনো প্রকার খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এটা কীভাবে হলো তা আমাদের ধারণার বাইরে।”
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিদ্দিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্যবসায়িক লেনদেন বা ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পাবনা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ছেলেধরা বা অপহরণকারী সন্দেহে তাদের পিটিয়ে হত্যা করা হলেও এর পিছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।
এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।