কানাডায় চাইল্ড নিউট্রিশন সম্মেলনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ

কানাডার মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল চাইল্ড নিউট্রিশন ফোরামে’র সম্মেলনে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন এতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিরোজ।

১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া পাঁচদিনব্যাপী সন্মেলনটি শেষ হয় বৃহস্পতিবার।  

এর উদ্বোধন করেন ক্যুইবেক প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী সেবাস্টিয়ান প্রোলক্স।

সম্মেলনে ৫৭টি দেশের বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, এনজিও, দাতাসংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট চারশ’রও বেশি লোক অংশ নেন।

সম্মেলনে স্কুলে স্কুলে খাদ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পিত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো- 'স্কুলে খাবারের কর্মসূচি দিয়ে বন্ধন তৈরি:  স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ'।

এতে বাংলাদেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিরোজ বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরেন।

কানাডার বাংলাদেশ হাই কমিশন জানিয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা  মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সেখানে মন্ত্রীদের গোল টেবিল প্যানেলের সদস্য হিসেবে বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে তিনি বলেন, “বর্তমান সরকার ২০১৩ সালে ডব্লিউএফপির সহযোগিতায় স্কুল-খাদ্য কর্মসূচি চালু করেছে এবং আজ পর্যন্ত তা মোট ৩০ মিলিয়ন স্কুলছাত্রকে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে পর্যায়ক্রমে সকল শিশুকে অন্তর্ভুক্তের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।” 

গ্লোবাল চাইল্ড নিউট্রিশন ফাউন্ডেশন এবং জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য প্রোগ্রাম বিশ্ব জুড়ে শিশুদের খাদ্য এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতে প্রতি বছর ক্ষুধার বিরুদ্ধে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

এবারের সন্মেলনের সহযোগিতায় রয়েছে গ্লোবাল চাইল্ড নিউট্রিশন ফাউন্ডেশন, জাতি সংঘের সেন্টার অফ এক্সিলেন্স এগেন্স্ট হাঙ্গার, সিটি অফ মন্ট্রিয়ল এবং হাঙ্গার ব্রেকফাস্ট ক্লাব কানাডা।

মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে আরও অংশ নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনজুর কাদির, মন্ত্রীর যুগ্ম সচিব রামচন্দ্র দাস, ঢাকায় ডব্লিউএফপি'র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর রেজাউল করিম এবং কানাডায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) দেওয়ান মাহমুদ। 

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [e-mail]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!