স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনগুলো শেখ হাসিনাকে জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘সংবর্ধনা’, জাতিসংঘের সামনে ‘শান্তি সমাবেশ’ ও টাইমস স্কয়ার সংলগ্ন একটি হোটেলে ‘নাগরিক সংবর্ধনার’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
অপরদিকে, জাতিসংঘে শেখ হাসিনার ভাষণের সময় বাইরে স্থানীয় জামায়াত সমর্থকরা ‘বিক্ষোভ’ করার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় বিএনপি সমর্থকরা জাতিসংঘের সামনে ‘বিক্ষোভের কর্মসূচি’ চূড়ান্ত করেছে।
শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ইতোমধ্যে পোস্টার দেখা গেছে। বাংলা ভাষার স্থানীয় গণমাধ্যমে এ সফরের সংবাদ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে জ্যামাইকায় হিলসাইড অ্যাভিনিউতে একটি পার্টি হলে শেখ হাসিনার সফরের সমর্থনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ, জেষ্ঠ্য যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক আইরিন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ, প্রচার সম্পাদক এনাম, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আকতার হোসেন, সৈয়দ বসারত আলী ও মাহবুবুর রহমান।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “শেখ হাসিনার সম্মান হুমকির মুখে ঠেলে দেয়ার মত কোন ধরনের অপতৎপরতাকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। প্রচলিত আইন অনুযায়ী গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক জেষ্ঠ্য সহ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সোলায়মান ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন বাদল, যুবনেতা এম এ বাতিন ও স্টেট বিএনপির নেতা পারভেজ সাজ্জাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘কমিটি না থাকায় কাজকর্মে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন অনেক নেতা-কর্মী। তবে বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী প্রতিটি প্রবাসীর মত আমরাও জাতিসংঘের বাইরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাবো।”
জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা হিসেবে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে আসছেন শেখ হাসিনা। ২১ সেপ্টেম্বর সাধারণ অধিবেশনে তার ভাষণ দেওয়ার কথা। এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।
২২ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশ্যে তার নিউ ইয়র্ক ছাড়ার কথা রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসিতেই অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |