নিউ ইয়র্কে আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে সমাবেশ করেছে ‘নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ’।

স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের হাটবাজার পার্টি হলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন এ সমাবেশে। সংগঠনের সেক্রেটারি ইমাদ চৌধুরীর পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী আব্দুস সোবহান গোলাপ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

প্রধান অতিথি আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, “দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বাংলাদেশ যে আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে দীপ্ত প্রত্যয়ে ধাবিত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে,-এসব সবিস্তারে বাংলাদেশের মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে হবে নেতাকর্মীদেরকে।”

তিনি আরও বলেন, “জোর করে ভোট নেওয়ার দিন শেষ। গত কয়েক বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বক্ষেত্রে যে উন্নয়ন ঘটেছে, তা সর্বসাধারণকে যথাযথভাবে অবহিত করতে পারলেই জনগণ কনভিন্স হবেন। আর এভাবেই ভোট নিতে হবে সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় বসাতে।”

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, “২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় দিতে প্রবাসীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। সামনের বছরেই শত শত প্রবাসী কর্মী-সংগঠক নিজ নিজ এলাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”

সমাপনী বক্তব্যে জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী পরিবার আজ ঐক্যবদ্ধ। সংগঠনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এ সমাবেশের সকলেই সংকল্পবদ্ধ সামনের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের বিপুলভাবে জয়ী করতে।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইরিন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ, নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান, উপদেষ্টা মাসুদুল হাসান, নিউ ইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি শাহীন আজমল, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুরল আমিন বাবু ও ব্রুকলিন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরল ইসলাম নজরুল।

মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকীর মোনাজাতের পর ইফতার পরিবেশন করা হয় সমবেতদের।

প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [e-mail]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন!