গত এক বছর যাবত বাথার বিভিন্ন স্থানে সবজিসহ দেশিয় মালের ব্যবসা করেন। বর্তমানে তার বাবা ও ছোট ভাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তার সাথে কাজ করে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অন্য শ্রমিকরা কাজ করলে জনপতি ৫০-৬০ টাকা দিতে হয়।
আব্দুল ওহাবের ভাষায়, সাপ্তাহিক সব খরচ বাদ দিয়ে হাজারখানেক রিয়াল টিকে। মাতৃভূমি থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে সুদূর সৌদি আরবে বসবাস করেও বাংলাদেশিরা লালন পালন করছে দেশিয় সংস্কৃতি। সপ্তাহের ছুটির দিনে বা অন্য কোনো বিশেষ দিনে সময় পেলেই বাংলাদেশিরা চলে যেতে চান তাদের গ্রাম-বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্যে।
বাংলাদেশের গ্রাম-বাংলার হাট-বাজারের চিত্র উঠে আসে এ বাংলা বাজারগুলোতে। সপ্তাহ জুড়ে যেসব শ্রমিক বাগানে, কোম্পানিতে অল্প বেতনে চাকরি করেন, তারাই শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির দিনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিকালে ৪টার পর থেকে বাথায় বিশাল এলাকা জুড়ে রাস্তার দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে বসেন বিভিন্ন পসরা নিয়ে।
ক্রেতা-বিক্রেতা অধিকাংশ বাংলাদেশি হলেও ভারতীয়, নেপালি, পাকিস্তানিসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরাও প্রচুর। লক্ষ্য একটাই- কম দামে কেনাবেচা করা। মিশরিয়, সিরিয়ান, সুদানি, ইয়েমেনি, আরব ক্রেতাও রয়েছে অনেক।
স্থানীয় প্রশাসন বলদিয়া এসব অবৈধ অস্থায়ী বাজারের বিরুদ্ধে প্রায়ই নানা ব্যবস্থা নিয়ে থাকলেও পুনরায় এসব অস্থায়ী দোকান মালিকরা আবার বিভিন্ন পসরা নিয়ে জমিয়ে তোলেন এসব বাজার। এমনকি বাজার চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্য্েরা বিশেষ বাহিনী নিয়ে গাড়িতে করে মালামালসহ অনেককে (প্রবাসী অস্থায়ী দোকানদার) নিয়ে যায়।
অনেকে আবার চড়া জরিমানা দিয়ে কয়েকদিন পর আবার ফিরে আসেন। প্রশাসনিক তৎপরতা কিছুটা বেশি হলে কিছুদিনের জন্য এসব বাজার বন্ধ থাকলেও মাসখানেক পর আবার চালু হয় তাদের এ অস্থায়ী পেশা।
অনেক সময় সেখানে পাওয়া যায় গাঁজা বা ইয়াবার মতো নেশার সামগ্রী। অনেক সময় মদ ও জুয়ার টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে চলে হাতাহাতি আর মারামারি। এসব মারামারির কারণে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে অধিকাংশই বাংলাদেশি। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।
রিয়াদের বাথা ও হারা জুড়ে এসব অস্থায়ী অবৈধ ভাসমান দোকান বা এসব বাংলা বাজার বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ধর-পাকড়, জলে, চড়া জরিমানাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
লেখক: প্রবাসী বাংলাদেশি
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |