বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব সম্পর্ক উন্নয়নে পড়বে না: জাপান

বাংলাদেশের সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে পড়বে না বলে মন্তব্য করে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের মাধ্যমেই 'বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ'কে মোকাবেলার সঙ্কল্পের কথা বলেছেন জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নবো কিশি।

এস এম নাদিম মাহমুদ, জাপান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2017, 02:42 PM
Updated : 29 March 2017, 02:42 PM

প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সহোদর নবো কিশি মঙ্গলবার টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের এক আলোচনায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,  "গত বছরের পহেলা জুলাই ঢাকায় সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা আমাদের দ্বি-পাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতায় কোন প্রভাব ফেলেনি। জাপান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আস্থা, সহযোগিতা ও উন্নয়নের অংশীদারিত্ব।

"তাই, জাপান বিশ্বাস করে, দ্বি-পাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতার মাধ্যমেই আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত করা সম্ভব।"

গত বছর ঢাকায় হলি আর্টিজনে জঙ্গি হামলায় সাত জাপানি নিহত হন। ওই ঘটনার পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জোর দিয়েই বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার সভাপতিত্বে স্বাধীনতা দিবসের ওই অনুষ্ঠানে জাপানের উপ-প্রধানমন্ত্রী তারো আসোর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ ইচিরো সুকাদা।

তিনি বলেন, "বাংলাদেশ জাপানের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সত্যিকারের বন্ধু। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে জাপানের সংসদের সদস্য তাকাশি হায়েকাওয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য জাপান সরকারকে অনুরোধে স্বীকৃতি জানায়। পরবর্তী সময়ে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্কের ধারা অব্যাহত থাকে।"

উপ-প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আরও বলা হয়, "আমরা গভীরভাবে ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।"

বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপে সবসময় জাপানের সমর্থন অব্যাহত  থাকবে বলে আশ্বস্ত করা হয়।

রাষ্ট্রদূত রাববা ফাতেমা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১  অর্জনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির দিকগুলো তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপ-মন্ত্রী  কিওশি ওদাওয়ার, সংসদীয় সদস্য, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক, শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পরে জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নবুও কিশি, জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগ এর সাধারণ সম্পাদক ইচিরো সুকাদাকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের মূল আনুষ্ঠানিকতা সমাপ্ত ঘোষণা করেন।