একই কারণে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত বারা কাউন্সিল টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস।
ট্রাম্পকে অবিলম্বে ওই নির্বাহী আদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনের এমপি রুশনারা আলী হাউস অব কমন্সে দেওয়া বক্তৃতায় বলেন, “এই নির্বাহী আদেশ চরম বিভক্তিকর এবং একই সাথে বিপদের। এটি আমেরিকা ও ইউরোপসহ পুরো মুসলিম বিশ্বে একটি আতঙ্কের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। একজন মুসলিম হিসাবে আমার কাছে এটি গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয়।”
কানাডায় মসজিদে গুলিতে ছয়জন নিহতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এখন আমি এদেশেও আতঙ্কিত।”
রুশনারা বলেন, “বিভক্তি ও ঘৃণার বিপরীতে রাজনীতিবিদরা যখন আতঙ্ক ছড়িয়ে দেন, যখন তারা এর বিরুদ্ধে সাহস নিয়ে দাঁড়াতে পারেন না, তখন তা ভুল বার্তা ছড়িয়ে দেয়।”
তার মতোই বক্তব্য দিয়ে মেয়র জন বিগস এক বিবৃতিতে বলেন, “টাওয়ার হ্যামলেটসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্থান নেই। কারণ ইস্ট এন্ড সর্বদাই ঘৃণা, বিভক্তি ও গোঁড়া মতবাদের বিরুদ্ধে। আমরা এটাও জানি, এর বিরুদ্ধে কীভাবে দাঁড়াতে হয়।”
মেয়র বলেন, “টাওয়ার হ্যামলেটসে বহু সংস্কৃতির চমৎকার সহাবস্থান রয়েছে। এজন্যই আমরা এখানে শক্তিশালী ও ভালো।”
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভক্তির নীতি সমাজে হিংসা ও ঘৃণা বাড়ানো ছাড়া আর কোনো ফল বয়ে আনবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র কাছে চিঠি পাঠিয়ে যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের রাষ্ট্রীয় সফর বাতিলের অনুরোধ জানানোর কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন জন বিগস।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সন্ত্রাস দূরে রাখার কথা বলে মুসলিম অধ্যুষিত সাত দেশ ইরাক, ইরান, সিরিয়া, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার সাত দিনের মাথায় ট্রাম্পের ওই আদেশের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। নিজের দেশ এবং দেশের বাইরে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা ছাড়াও কয়েক জায়গায় এ আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে।
ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির আইনপ্রণেতারাও এ আদেশের সমালোচনা করেছেন। তাদের আশঙ্কা, উল্টা প্রভাব হিসেবে জঙ্গি সংগঠনগুলো এটাকে কাজে লাগিয়ে নতুন লোক দলে ভেড়াতে পারে।