এই দুই ডিগ্রি তাপমাত্রার সাথে আমার জীবনের স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাই এই তাপমাত্রা হলেই মনে পড়ে যায় সেই স্মৃতি।
১৯৭৭ সালের ১৩ অক্টোবর, হঠাৎ করেই আমরা চার বন্ধু মিলে রওয়ানা দিলাম জার্মানির পথে। সেলিম, রশিদ, নিলু আর আমি।
তখন তেমন কোন উদ্দেশ্যই ছিল না। কোথায় থাকবো, কি করবো, কতদিন এখানে থাকবো- এসব কেউই সেভাবে ভাবিনি। তরুণ বয়স, কোন রকম প্রতিবন্ধকতার কথা মাথাতেই আসেনি সেদিন।
মুম্বাই আর তেহরানে বাংলাদেশের মতোই আবহাওয়া। আর তাসখন্দে ছিল ঠাণ্ডা, তবে খুব বেশি না।
তারপর প্লেন উড়ে চললো মস্কোর পথে। ওখানে প্লেন থেকে বাসে উঠে টার্মিনাল পর্যন্ত আসতে হয়েছিল।
বিমান থেকে বের হয়ে সিঁড়িতে নামলাম। ওখানে নেমেই জীবনে প্রথম এই দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভব করলাম।
আমি পরেছিলাম বাহাদুর শাহ পার্কের পুরনো দোকান থেকে কেনা ওভারকোট। সাথে ছিল পাতলা দেশি সোয়েটার, আর সাধারণ জুতা-মোজা। তাই দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস ঠাণ্ডার ধাক্কা খেয়ে বুঝতে পারলাম, এই শীতের মধ্যে এসব কাপড় যথেষ্ট নয়।
আমার জীবনের থাকার জায়গার যে এই বিশাল পরিবর্তন হবে, তখন সেটা আঁচ করতে পারিনি। তারপরও চলছে জীবন আর পেছনে পড়ে আছে অসংখ্য স্মৃতি।
চলবে...
লেখক:প্রবাসী বাংলাদেশি