‘সেবা লাইব্রেরি’ নামে এই প্রতিষ্ঠানটিতে সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের নিয়ে মাঝে মধ্যেই বসে সাহিত্য, শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার নানা আয়োজন। সদস্যরা এখান থেকে বই নিয়ে পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি মাঝে মধ্যেই গুণী শিল্পী, সাহিত্যিক, কবি ও বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে প্রাণবন্ত আড্ডার সুযোগ পান।
আর তাই এটি একটি লাইব্রেরি হলেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের তৎপরতাকে ছাপিয়ে সেচ্ছাসেবী সংগঠনের মতোই প্রবাসের বাঙালি কমিউনিটিতে পূর্বপুরুষের শেকড়কে টেনে তোলার নিরন্তর প্রচেষ্টায় নিয়োজিত রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবীদের সময় ও অর্থের অনুদানেই গড়ে উঠেছে এই লাইব্রেরি।
‘সেবা'র সদস্য হোন, বাংলা বই পড়ার সুযোগ নিন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১১ বছর ধরে বাংলা সাহিত্যকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে লাইব্রেরিটি।
প্রবাসীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে নিজের সংগৃহীত বই নিয়ে এই সেবা লাইব্রেরির গোড়া পত্তন করেন বাংলাদেশের হারুনুর রশিদ। এরপর ধীরে ধীরে এই লাইব্রেরিকে নিয়ে অনেকের সাথেই গড়ে উঠতে থাকে সখ্য। তার সাথে যুক্ত হন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গবেষক ও কবি রুদ্রশঙ্করসহ বেশ কয়েকজন গুণী ব্যক্তি। আর এইভাবেই প্রবাসী প্রজন্মের কাছে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে গড়ে উঠেছে এই লাইব্রেরি।
রোববার আরও একটি ভিন্ন স্বাদের আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে শিক্ষাবিদ আজফার হোসেনকে নিয়ে। আবৃত্তিসহ সাহিত্য, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং নানান বিষয়ে খোলামেলা এই আড্ডায় সবাইকে বরাবরের মতো আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পরিচালক হারুনুর রশীদ।