গণভোটে ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসা লন্ডনের বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো আসনের এমপি রুশনারা শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ইইউ ও যুক্তরাজ্য ঘিরে যেসব বিতর্ক গণভোটে গড়িয়েছে তা ‘আবেগপূর্ণ’ হলেও বিষয়টি দেশের ভেতর জাতি-বর্ণ, অঞ্চল ও শ্রেণিভিত্তিক ‘গভীর বিভাজনের’ প্রকাশ ঘটিয়েছে।
“এই সব বিভাজন লাঘব করতে আমাদের সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের দেশের বিভিন্ন কমিউনিটিকে একত্রীকরণে বিশেষত যারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের সাহায্য করতে হবে।”
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত গণভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ইইউ ছাড়ার পক্ষে ভোট পড়ে ৫২ শতাংশ, আর থাকার পক্ষে ভোট পড়ে ৪৮ শতাংশ। এর মধ্য দিয়ে ইউরোপের দেশটির জনগণের দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়েছে।
লন্ডনের বাঙালি অধ্যুষিত ‘বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো’ আসন থেকে লেবার পার্টির মনোনয়নে দুই বার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন রুশনারা ।
গত ১৫ জুন নিজ আসনের বাসিন্দাদের কাছে এক খোলা চিঠিতে ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এই বাঙালি নারীর আহ্বানে সাড়াও দিয়েছিলেন তার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দারা। এই আসনে ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট পড়েছে প্রায় ৭০ ভাগ। তবে পুরো যুক্তরাজ্য থেকে ইইউতে না থাকার পক্ষেই (৫২ ভাগ ভোট) রায় এসেছে।
যুক্তরাজ্যের ইইউতে থাকার পক্ষে যারা ‘নিরলসভাবে’ প্রচার চালিয়ে এসেছেন বিবৃতিতে তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে রুশনারা বলেন, “আমি জানি যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেই যুক্তরাজ্য ভালো, নিরাপদ ও দৃঢ় থাকবে বলে আমার মতোই বিশ্বাস করেন- তাদের জন্য (গণভোটের) ফলাফলটি হতাশাব্যঞ্জকই হবে।”
ইইউ ছাড়তে গেলে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি, মানুষের জীবন-জীবিকা ও জনসেবা খাতের মতো যেসব বিষয়ে অনিশ্চয়তা ও উদ্বেগ রয়েছে সেগুলোর সুরক্ষায় নজর দেওয়ার জন্য দেশটির সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।