ফুচকা যখন উৎসবের উৎস!

চটপটি বা ফুচকার কথা শুনলে বাঙালির জিভে জল তো আসেই! আর সঙ্গে যদি থাকে ‘ঝাল টক’ তাহলে তো পোয়াবারো!

ফেরদৌস আরা, জাপানের সেন্দাই থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2015, 02:36 PM
Updated : 3 Sept 2015, 02:37 PM

কিন্তু জাপানে বসে ইন্টারনেটে ছবি দেখে হাপিত্যেশ করা ছাড়া খেয়ে আঁশ মেটাবার সুযোগ আসলে কোথায়? চটপটি তৈরিটা হয়তো বিশাল কষ্টসাধ্য কিছু না, কিন্তু ফুচকা তো প্রবাসে রীতিমতো দুর্লভ বস্তু! তাই কালেভদ্রে যদি পাওয়া যায় তার দেখা তখন তা ঘিরে ‘উৎসব’ জমতেই পারে! 

আর তাই এই খাবারের জন্য দাওয়াত নেওয়ার কি দরকার? শোনা মাত্রই তো জিভে জল চলে আসে। তাই সেন্দাই শহরের সামিনা আক্তার লাকী ও ফরহাদ কাদের যখন জানালেন তাদের সাত মাস আগে শুরু করা বাঙ্গালি রেস্তোরাঁয় ফুচকার উপাদান জোগাড় করেছেন, তখন কে আর দেরি করে! আমরা বেশ কয়েকজন প্রায় হুমড়ি খেয়েই ঢুকে পড়লাম এই হাশিখুশি দম্পতির রেস্তোরাঁয়।  

আড্ডা জমে উঠলো সহজেই, সঙ্গে টপাটপ ফুচকা গলাধঃকরন। ফুচকা খাওয়ার প্রতিযোগিতার চোটে সেলফিবাজরাও সেলফি তুলতে ভুলে গেল!

ভোজনরসিক বাঙ্গালির ভোজন কী এখানেই শেষ হয়! আরও কিছুক্ষণ চললো চটপটি, দই ও কোমল পানীয়ের সঙ্গে গান কৌতুকে ভরা একটি বিকেল। অবশেষে এল তৃপ্তির ঢেকুর!

দূরের দেশ জাপানে থেকেও বহুদিন পর মনে হল যেন দেশেই আছি!

প্রবাস জীবনের গল্প ও অভিজ্ঞতা এখন থেকে আমাদের সরাসরি জানাতে পারেন। পুরো নাম ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায়  probash@bdnews24.com