‘খেলা’ বুঝতে পেরে ভোট বর্জন: হান্নান শাহ

ভোটগ্রহণের মাঝপথে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বর্জনের নতুন একটি ব্যাখ্যা এসেছে বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহর কাছ থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2015, 05:09 PM
Updated : 6 May 2015, 03:04 PM

তিনি বলেছেন, সেদিন দুপুরের পর সেনাবাহিনী নামিয়ে সরকার এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু দেখানোর একটি ‘খেলা খেলতে চেয়েছিল’ আঁচ করে নির্বাচন থেকে সরে যান তারা।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের এক সপ্তাহ বাদে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় একথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন হান্নান শাহ।

গত ২৮ এপ্রিল ভোটের দিন দুপুরে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে আব্বাসসহ বিএনপি সমর্থিত তিন মেয়র প্রার্থীই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।  

হান্নান শাহ বলেন, “অনেকে বলছেন, কেন আমরা দুপুর ১২টার পর ভোট থেকে সরে আসলাম। আমরা যখন জানতে পারলাম, সকাল থেকে ভোট কারচুপি, জাল ভোট দেওয়ার পর সরকার ও নির্বাচন কমিশন নতুন খেলার পরিকল্পনা করছে। তা হল দুপুর ২টার পর সেনাবাহিনী নামিয়ে সুষ্ঠু নিবার্চন হচ্ছে বলে তারা একটা খেলা দেখাতে চেয়েছিল।

“এটা জানার পর আমরা ২টার আগেই ভোটে আমাদের সমর্থিত প্রার্থীদের তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সরকারের ওই নাটক বন্ধ করে দিয়েছি।”

সরকারবিরোধী আন্দোলন শিথিল করে স্থানীয় নির্বাচনে আসা বিএনপি শুরু থেকে ভোটের সময় সেনাবাহিনী চেয়ে আসছিল।

তাদের দাবিতে নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনীকে এই নির্বাচনে যুক্ত করলেও তাদের মাঠে নামায়নি। বলা হয়েছিল, প্রয়োজন পড়লে রিটার্নিং কর্মকর্তারা সেনাসদস্যদের ডাকবেন। তবে কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের ডাকেননি।

ভোট বর্জনের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতারা বলে আসছেন, এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্য থেকে পূর্বপরিকল্পিতভাবেই ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল বিএনপি।

সিটি নির্বাচন বর্জন সঠিক ছিল দাবি করে হান্নান শাহ বলেন, “জাল ভোট মেরে বাক্স ভরতি করা হয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে। ভোট চোর ধরা পড়ে গেছে। এই নিবার্চনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।”

জালিয়াতি বলার পরও কোনো কর্মসূচি না থাকার বিষয়ে বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, “আমরা নীরব প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তা না হলে সরকার বিদেশিদের বলত- এই দেখ, বিরোধী দল নির্বাচনের ফলাফল মানতে চায় না। তারা দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে, তারা জঙ্গি।”