শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, “যে খালেদা শতশত মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করেছেন সেই খালেদা তাদের লাশের গন্ধের পাশ দিয়ে ভোট চাইতে পারেন না। এদেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন, তারা ভোলেনি কিছু দিন আগেই শতশত পোড়া মানুষের গন্ধের কথা, ব্যবসায়ের ক্ষতির কথা।”
মানববন্ধনে সচেতন নাগরিক, চিকিৎসক, বুদ্ধিজীবী ও শিল্পীরা অংশ নেয়।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তারানা বলেন, “আমরা অগ্নিদগ্ধের গন্ধ ভুলিনি। আপনি স্বজনদের লাশের উপর দিয়ে কীভাবে ভোট চান? আপনি ভোট চাইতে পারেন না। আপনি একজন মা, অনুগ্রহ করে স্বজনদের কাছে ভোট চেয়ে তাদেরকে ব্যথিত করবেন না। তাদের কষ্টটা বাড়িয়ে দেবেন না।”
হরতাল-অবরোধে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থী অভির মা নূরজাহান বেগম নিতু বলেন, “বেগম জিয়া কেন অবরোধ ডেকে মানুষ পোড়ালেন? আমার ছেলেটা আমার সামনে কাতরে মারা গেছে, আমি চাই না আর কারো ছেলে এভাবে মারা যাক।”
“যারা হরতাল-অবরোধ দিয়ে আমার ছেলেকে মেরেছে তারা কি একবারও ভাবেননি যে কারো না করো মায়ের কোল এভাবে খালি হবে? আমার ছেলে তো কোন অন্যায় করেনি, কেন তাকে পুড়িয়ে মারা হলো?”
মানববন্ধনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, “আজকে আমাদের এখানে দাঁড়ানোর কথা ছিল না। আমরা দাঁড়িয়েছি কারণ হরতাল-অবরোধ দিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করা হয়েছিল, ছাত্রদের কাছ থেকে জীবন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “বেগম জিয়া বলতেন এসব সরকারের চক্রান্ত। আপনি তাহলে বার্ন ইউনিটে কেন যাননি? কারণ আপনি জানেন এসবের হোতা আপনি ও আপনার দল।”
রাজনীতির নামে যারা সহিংসতা করে তাদের ভোট চাওয়ার কোনো অধিকার নেই বলেও মনে করেন গোলাম কুদ্দুস।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তমালিকা কর্মকার, অরুণা বিশ্বাস, আফরোজা বানু, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী প্রমুখ।