শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচির শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল লীগসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মী লাঠি ও ইট হাতে চড়াও হয়।
এলোপাতাড়ি লাঠি ও ইটের আঘাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ আহমেদ, জাতীয় নাগরিক সংসদের সভানেত্রী খালেদা ইয়াসমীন, মিয়া মো. আনোয়ার কমবেশি আহত হন। ফরিদা ইয়াসমীনসহ কয়েকজন শরীরে রক্তও দেখা গেছে।
আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহবায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেনের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও হামলার সময় তারা সেখানে পৌঁছাননি।
সকাল সাড়ে ১১ টায় স্বাধীনতা ফোরামের ব্যানারে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার নিন্দা ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে’ মানববন্ধন শুরু হয়।
মাইকে শুরুর ঘোষণা দেয়া মাত্র পাশে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল লীগের একটি মানববন্ধন থেকে ১০-১৫ জন লাঠি ও ইট নিয়ে তাদের দিকে তেড়ে যায়।
এসময় হামলাকারীদের কয়েকজনকে বলতে শোনা যায়, হরতাল-অবরোধকারী পেট্রোল বোমাবাজদের কোনো মানববন্ধন করতে দেওয়া হবে না।
অন্যদিকে হরতাল-অবরোধে পেট্রোল বোমা হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে মানববন্ধনটি শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়।
এ কর্মসূচি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুস, সাংসদ তারানা হালিম, শিল্পী, কবি, সাহিত্যিকরা অংশ নেন।
গত বৃহস্পতিবারও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের কর্মীরা জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মানববন্ধনে হামলা চালিয়েছিলেন।