সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বামীর পক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে তিনি বলেন, “আমি পাবনার মেয়ে। কিন্তু আমি আপনাদের বউ। ঢাকাবাসীর বউ। আব্বাসকে বিয়ে করিয়ে আপনারা আমাকে বউ করে ঘরে এনেছেন।
“আমি আপনাদের কাছে বউয়ের সম্মান চাই। বউ হিসাবে আমি আমার নিরাপত্তা চাই।”
নাশকতাসহ কয়েকটি মামলা মাথায় নিয়ে লোকচক্ষুর রয়েছেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্বাস। তার প্রতীক মগ নিয়ে আফরোজাই গত ৮ এপ্রিল থেকে দক্ষিণের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে প্রচার চালিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, “আমি যেখানে যাই, সেখানে সরকার দলের নেতাকর্মীরা হয়রানি করছে। প্রচারকালে যে বাসায় আমি নামাজ পড়তে যাই, সেই বাসায় ঢুকে পুলিশ রুমে রুমে তল্লাশি চালায়। জিনিসপত্র তছনছ করে।
“আমি এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা আমি দেখিনি।”
নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আব্বাসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকনের বাসায়ও যান আফরোজা আব্বাস। সেখানে তিনি খোকনের চাচা-চাচীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং স্বামীর জন্য ভোট চান।
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “টকশোতে দেখলাম, একজন বলছে আমি নাকি ঠিকভাবে প্রতিবাদ করতে পারছি না। কীভাবে প্রতিবাদ করলে সেটা ঠিক প্রতিবাদ হবে?”
আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আব্বাসের নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন উপস্থিত ছিলেন।