দেশকে ‘বিপদজনক রাষ্ট্র’ বানানোর চেষ্টা রুখতে হবে: কাদের

নাশকতা ও বোমাবাজির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ‘বিপদজনক রাষ্ট্রে’ পরিণত করার ‘অপচেষ্টা’ প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2015, 01:40 PM
Updated : 30 Jan 2015, 01:40 PM

শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসেসিয়েশনের (টিজেএ) দ্বি-বার্ষিক সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির চলমান কর্মসূচি কোনো আন্দোলন নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা বোমাবাজি করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো বিপদজনক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তাদের রুখতে হবে। মানুষকে আতঙ্কিত ও উদ্বেগে রেখে রাজনীতি হতে পারে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “দিন যত যাচ্ছে পলিটিকস তত ‘পোলারইজড’ হচ্ছে। রাজনীতিবিদদের মাঝে ‘ওয়াল’ তৈরি হচ্ছে, সেতু তৈরি হচ্ছে না।

“রাজনীতি যত ‘পোলারাইজড’ হচ্ছে সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী সবাই বিভক্ত হচ্ছে। আপনাদের কাছে অনুরোধ ওয়ালটা বড় না করে সেতু তৈরি করুন।”

“আমি যেখানে গেছি সেখানে দেখেছি সাংবাদিকদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি। ‘পোলারাইজড’ রাজনীতির মধ্যে চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা মডেল হবে এটাই আমার আশা।”

সাংসদদের গাড়িতে স্টিকার লাগানোর প্রসঙ্গ ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজের নাম লিখতে না পেরে অনেকে ‘স্টিকার’ লাগিয়ে সাংবাদিক হয়ে গেছেন। এরা কোনো নিয়ম মানে না। যেখানে সেখানে গিয়ে বসে যায়।

তিনি বলেন, “সংবাদপত্র এখন ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে। কোন স্ট্যান্ডার্ড নেই। যার যেমন খুশি পয়সা কিছু হাতে এলে একটা পত্রিকা বের করে- এটার চলার দরকার নেই।

“কিছু বিজ্ঞাপন এখানে ওখানে ধমক-ধামক, অমুক সমুক বলে নেয়। এমন সাংবাদিকদের থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে হবে “

আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, দেশে এখন ব্যানার পোস্টার লাগানোর জন্য কর্মী পাওয়া যায় না। সবাই নেতা হয়ে গেছে।

“এখন কর্মী উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ নেতা উৎপাদনের দেশ। কর্মী কেউ নাই, সবাই এখন বড় বড় নেতা। দেশে নেতার বাম্পার ফলন হয়েছে।”

এসময় উপস্থিত নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির ও দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “রাজনীতির নামে এসব এই হাইব্রিডদের প্রতিহত করুণ। এসব হাইব্রিডরা রাজনীতিকে ক্ষতি করছে।

“রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে বড় সম্পদ মানুষের ভালোবাসা। এর চেয়ে বড় কিছু আর হতে পারে না।”

মাহসড়কের পাশ থেকে বিলবোর্ড তুলে ফেলার জন্য সব দলের রাজনীতিবিদদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাস্তার পাশে বিলবোর্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন চালকদের জন্য দৃষ্ঠিভ্রম। এগুলো দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ।

আগামী একমাসের মধ্যে এগুলো তুলে ফেলার আহ্বান জানান তিনি।

টিজেএর সভাপতি শামসুল হক হায়দরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনওয়াজ ও টিজিএ’র সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।