আবারো সেই বালুর ট্রাক

পুলিশের ঘেরাওয়ের মধ্যে ‘অবরুদ্ধ’ বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের অফিসের সামনের রাস্তা ইট ও বালুভর্তি ডজনখানেক ট্রাক রেখে আটকে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে সেখানে বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যাও।

সেখানে উপস্থিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক আশিক হোসেন , যে রাস্তায় খালেদার অফিস, সেই ৮৬ নম্বর সড়কের দুই দিকে আড়াআড়িভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে ১১টি ট্রাক।

এছাড়া জলকামান, এপিসি নিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সেখানে অবস্থান করছেন।

খালেদার অফিসের ফটকের কাছেই রয়েছে পুলিশের পিকআপ এবং একটি বড় ভ্যান।

সংবাদকর্মীরা রয়েছেন চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে। সাধারণ মানুষকে ওই রাস্তায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত দুদিন ধরে গুলশানের এই কার্যালয়ে আটকে আছেন। ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়ে সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দেওয়ার পর শনিবার রাতে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশ তাকে আটকে দেয়।

৫ জানুয়ারি ঢাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশ বলেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তার ‘স্বার্থেই’ এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।

শনিবার থেকে ওই সড়কে পুলিশের গাড়ি থাকলেও রোববার রাতে সেখানে আনা হয় ছয়টি ট্রাক, যার তিনটিতে বালু, একটিতে ইট ও একটিতে ইটের সুরকি রয়েছে। এছাড়া অপর ট্রাকটি ছিল ফাঁকা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিবেদক সুমন মাহমুদ জানান, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ট্রাকগুলো এসে সড়কে আড়াআড়িভাবে অবস্থান নেয়।

সকালের মধ্যে ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১টিতে।

ট্রাকগুলো কারা কেন এনেছে সে বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর না মিললেও একটি ট্রাকের চালক জানান, গাবতলী থেকে ইটের খোয়া নিয়ে বনানী আসার পথে পুলিশ তাকে আটকায়।

“ট্রাকের কাগজপত্র পরীক্ষার পর পুলিশ আমাকে বলে, তাদের সঙ্গে যেতে হবে। এরপর তারা এখানে এনে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রেখেছে।”

খালেদার কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকে গড়ে তোলা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মূল ফটকের সামনে প্রথমে মহিলা পুলিশ দল, এরপর গোয়েন্দা পুলিশ এবং সর্বশেষ মহানগর পুলিশের সদস্যরা বেষ্টনি গড়ে তুলেছেন।

এর আগে ২০১৩ সালে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসার সামনের সড়কও একইভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।