রোববার নগরীর মেহেদীবাগে নিজ বাসায় হরতাল সফল করতে আয়োজিত চট্টগ্রাম নগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় এ মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু।
তিনি বলেন, “সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য দিয়ে জিহাদকে উদ্ধারে বিলম্ব ঘটিয়েছে।
“পুলিশ একজন পিতাকে তার শিশু সন্তান (জিহাদ) উদ্ধারে সহযোগিতা করেনি। বরং তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আটকে রেখেছে। এই অমানবিক বর্বর ঘটনার দৃষ্টান্ত এ সরকারের প্রশাসন স্থাপন করেছে।”
শুক্রবার শাহজাহানপুরে রেল কলোনিতে একটি পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের কয়েকশ ফুট গভীর পাইপে পড়ে যায় চার বছর বয়সী জিহাদ। ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর পাইপে ক্যামেরা নামিয়ে অনুসন্ধান করে ফায়ার সার্ভিস জিহাদের অস্তিত্ব না পাওয়ার কথা জানায়।
এ সময় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ওই পাইপে শিশুটির থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এরপর রাত ৩টার দিকে পুলিশ শিশুটির বাবা নাসিরকে শাহজাহাপুর থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় দুই প্রত্যক্ষদর্শীকেও থানায় নেওয়া হয়।
শনিবার বিকালে ওই পাইপ থেকেই জিহাদের লাশ উদ্ধার হওয়ার পর থানা থেকে ছাড়া পান মতিঝিল মডেল স্কুলের নৈশ প্রহরী নাসির।
হরতাল সফল করতে চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, “একটু কষ্ট হলেও দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সোমবারের হরতাল সফল করুন।
“কষ্ট হলেও দোকান-পাট বন্ধ রেখে, গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখে এ অবৈধ সরকারের প্রতি অনাস্থা জানান।”
মানুষ চরম কষ্টে দিনযাপন করছে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে, মানবাধিকার হরণ করে, গণতন্ত্রের কবর রচনা করে দেশকে একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে গেছে।”
দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা সফল হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
এসময় তিনি হরতাল সফল করে সরকারের অবৈধ সরকারের দুঃশাসনের জবাব দেয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি শামসুল আলম, ও আবু সুফিয়ান এবং মহানগর ছাত্রদল ও যুবদলের নেতারা।
সভায় জানানো হয়, অ্যাম্বুলেন্স, পত্রিকাবাহী গাড়ি, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ি ও নগরীর লালদীঘি মাঠে অনুষ্ঠিতব্য গাউছুল আজম কনফারেন্সে আসা গাড়ি সোমবারের হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।