তারেক সম্পর্কে কথা বলতেই ঘৃণা হয়: হানিফ

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘উন্মাদ’ আখ্যায়িত করে তার সম্পর্কে কথা বলতে ঘৃণা বোধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Dec 2014, 07:13 PM
Updated : 19 Dec 2014, 07:13 PM

শুক্রবার কুষ্টিয়া শহরে নিজের বাসায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, “তারেক রহমান জানোয়ারের মত যেসব কথাবার্তা বলছে, বা যেসব আচরণ করছে, এর বিরুদ্ধে কথা বললেই সেই কুকুরের পায়ে কামড় দেওয়ার মত অবস্থা হবে।”

ছয় বছর ধরে লন্ডনে থাকা খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজাকার’ বলে আলোচনার ঝড় তোলেন।

ফাইল ছবি

এর আগেও তিনি বঙ্গবন্ধুকে ‘পাকবন্ধু’ ও ‘অবৈধ প্রধানমন্ত্রী’ বলেছিলেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ‘বাংলাদেশের অভিশাপ’ আর আওয়ামী লীগকে ‘কুলাঙ্গারের দল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

সর্বশেষ বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজাকার’ বলে মন্তব্য করায় দেশে-বিদেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। পাল্টাপাল্টি বাকযুদ্ধে লিপ্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়াসহ দুই দলের নেতারা।

মতবিনিময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যিনি শিক্ষক ছিলেন, তার মত একজন শিক্ষিত মানুষ শুধু পদ-পদবির লোভে এই উন্মাদ তারেক রহমানের কথাকে সমর্থন করে নিজের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে মির্জা ফখরুলও প্রমাণ করলেন তিনিও রাজাকারদের প্রেতাত্মা।

“তার মধ্যে যদি মুক্তিযুদ্ধের ন্যূনতম চেতনা থাকত, মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতা সম্পর্কে যদি তার ন্যূনতম জ্ঞান থাকত  তাহলে এই উন্মাদ বা জানোয়ারের কথাকে তিনি সমর্থন করতেন না।”

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে খালেদা জিয়ার দাবির প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “বেগম খালেদা জিয়ার অন্যের বিচার চাওয়ার দরকার নেই, তার নিজের বিচার আগে হোক। তার বিচারের কাজ শেষ হোলে উনার কি অবস্থা হয় আগে সেটা দেখুক।

“২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি যে অপকর্ম করেছেন সেই অপকর্মের বিচার হলেই উনার রাজনীতি করার আর সুযোগ থাকবে না। এই বিচারের রায়ের শাস্তি নিয়েই তাকে বাকী জীবনটা কাটাতে হবে। অন্যের বিচার দেখার সুযোগ থাকবে না।”

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো চালিয়ে নেওয়ার পেছনে রাজনৈতিক ‘অভিসন্ধির’ অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, “এক-এগারোর সময় আমার বিরুদ্ধে পাঁচটা মামলা ও হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টা মামলা হয়েছিল। হাসিনার সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমি জোর দাবি জানাচ্ছি, হাসিনার মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। আমাদের মামলার বিচার চলবে, আর তারা খালাস পাবে, তা হতে পারে না।”

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।