এ সরকারের লেখা ইতিহাস সংশোধন করতে হবে: মঈন

সরকারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির পাল্টা অভিযোগ এনে বিএনপি নেতা আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারে থেকে ‘যে ইতিহাস লিখে যাচ্ছে’ তা সংশোধন করতে হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Dec 2014, 09:04 AM
Updated : 19 Dec 2014, 10:35 AM

শুক্রবার সকালে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা কথা বললেই ‘ভোট বিহীন নির্বাচনে’ ক্ষমতায় আসা এ সরকার মামলা দিচ্ছে।

“বর্তমান সরকার যে ইতিহাস লিখছে, তা সংশোধন করতে হবে। লন্ডনের দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় বাংলাদেশের ওপর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ সরকার ইতিহাস রচনার কাজ করছে। ইতিহাস রচনার কাজ সরকারের নয়। তাদের কাজ হবে দেশের মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন।’’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিতর্কিত মন্তব্য এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লন্ডনে বসে তার নিজস্ব ব্যাখ্যার জবাবে ক্ষমতাসীনদের তীব্র সমালোচনার মধ্যেই মঈন খানের এই পাল্টা অভিযোগ।       

তবে আওয়ামী লীগ কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে- সে বিষয়ে বিস্তারিত তিনি বলেননি।

মঈন বলেন, “ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট, বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে। তা অবশ্যই আমাদের সংশোধন করতে হবে।”

বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।

বিএনপিকে একটি ‘উদার রাজনৈতিক দল’ অভিহিত করে এ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, “বিএনপি সম্পর্কে নানা কথা বলা হয়। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বিএনপি একটি উদার ও সব ধর্মের দল। এক অর্থে নিরপেক্ষ দল। তবে আওয়ামী লীগের মতো ধর্ম নিরপেক্ষতার দল নয়। তারা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীন দল।”

সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে ‘নানা ষড়যন্ত্র করছে’ বলেও অভিযোগ করে তিনি।

“নিজেদের জবর দখল করা ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার হেন কাজ নেই করছে না। বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে তারা (সরকার) নানা তকমা ছড়িয়ে দিচ্ছে, যাতে পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন পাওয়া যায়।”

তিনি বলেন, এ সরকারের কারণে দেশের গণতন্ত্র এখন ‘মৃত’।

“কথা বললেই সরকার মামলা দিচ্ছে। আজ জনগণের ভোটের অধিকার নেই।”

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।