সোমবার এক বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, “অবিলম্বে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার না করা হলে জাতীয় পার্টি জনগণকে সাথে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।”
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরও রোববার রাতে দেশে ফেরার পর লতিফ সিদ্দিকীকে আটক না করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
“তিনি কি করে পুলিশের সামনে বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে গেলেন তা বোধগম্য নয়। তিনি কি আইনেরও উর্ধ্বে?”
হজ নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য ‘অসাংবিধানিক’ দাবি করে এরশাদ বলেন, “লতিফ সিদ্দিকী ইসলামের অবমাননা করে শুধু মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতেই আঘাত দেননি, তিনি বাংলাদেশের সংবিধানকেও অবজ্ঞা করেছেন। এদেশের মানুষ তাকে কোনোদিনই ক্ষমা করবে না।”
লতিফ সিদ্দিককে গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সংসদেও সরব ছিল এরশাদের দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য। দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সংসদ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিষ্কারের দাবিও জানান।
লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার হরতালের ঘোষণা দিয়েছে শেখ শওকত হোসেন নীলু নেতৃত্বাধীন এনডিএফ জোট। বৃহস্পতিবার হরতালের ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।