তারা বলেছে, বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা না হলে ২৬ অক্টোবর সারাদেশে হরতাল পালন করা হবে।
একই দাবিতে শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে তারা। বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে হবে বিক্ষোভ সমাবেশ।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত ইসলামী দলসমূহের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, সরকার মন্ত্রিপরিষদ থেকে সিদ্দিকীকে অপসারণের বিষয়ে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। এটা তাদের চালাকির রাজনীতি। এদেশের মুসলমানরা এটা মেনে নেবে না। অবশ্যই এই মন্ত্রীকে শাস্তি দিতে হবে।
“ইসলাম নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় আমরা অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
এছাড়া বৃহস্পতিবার হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও তাদের সমর্থন থাকবে বলে জানান তিনি।
গত রোববার নিউ ইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেন, “আমি কিন্তু হজ আর তাবলিগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী।”
তার বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
ওই ভিডিওতে তাকে বলতে দেখা যায়, “এ হজে যে কত ম্যানপাওয়ার (জনশক্তি) নষ্ট হয়। এই হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গেছেন। এদের কোনো কাজ নাই। কোনো প্রডাকশন নাই, শুধু ডিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা বিদেশে দিয়ে আসছে।”
ওই মন্তব্যের কারণে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেওয়ার দুটি মামলায় লতিফ সিদ্দিকীকে ইতোমধ্যে তলব করেছে ঢাকার আদালত।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, মুফতি ফখরুল ইসলাম মুসলিম লীগের কাজী আবুল খায়ের, উলামা মাশায়েখ পরিষদের মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, ইমাম উলামা পরিষদের মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, নেজামী ইসলাম পার্টির মাওলানা আবদুল করীম, হেফাজতে ইসলামের মাওলানা আহমেদ আলী কাশেমী প্রমুখ।