‘সরকার হটাতে জাতীয় ঐক্য গড়তে হবে’

সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে বিরোধীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামতে হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2014, 09:53 AM
Updated : 20 Sept 2014, 10:04 AM

শনিবার দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার এখন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে একের পর এক নানা আইন করে চলেছে। উদ্দেশ্য একটাই- অবিনশ্বর ক্ষমতায় থাকা।”

এই উদ্দেশ্যে বিরোধীদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “সরকার ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে বিরোধী দলের ওপর চরম ফ্যাসিবাদী আচরণ করছে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।

ফাইল ছবি

“এজন্য আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমাদের উচ্চারণ স্পষ্ট- আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।”

আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দলটির মুখপাত্র।

“মামলা দিয়ে নেতাদের কারাগারে নিয়ে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়,” বলেন তিনি।

জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা- একনায়কতন্ত্র’ শীর্ষক এই গোলটেবিল বৈঠক হয়।

বক্তব্যে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “গণতন্ত্র হরণকারী এই সরকার অতীতেও বাকশাল কায়েম করে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করেছিল। এবারো তারা একই কাজ করছে। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, তারা একে একে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে।”

এ সময় সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীরও সমালোচনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।

তিনি বলেন, “৫ জানুয়ারির ভোটবিহীন নির্বাচনে এমন একটি অনৈতিক সংসদ হয়েছে, যাতে জনপ্রতিনিধি নেই। এই সংসদ চলছে এক ব্যক্তির ইশারায়।

“এরকম একটি দলীয় সংসদের কাছে বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে বিচারপতিরা স্বাধীনভাবে রায় দিতে না পারেন। এই আইনের মাধ্যমে তাদের (বিচারপতি) ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।”

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রধান শফিউল আলম প্রধান, গণস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শওকত মাহমুদ ও মহাসচিব এম এ আজিজ বক্তব্য দেন।