বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সাবেক জাতীয়তাবাদী যুব দল ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
যুব দলের প্রতিষ্ঠাকালীন এই সদস্য বলেন, “আজ দেশের রাজনীতিতে বিরাট ধস নেমেছে। রাজনীতিতে লোভাতুরের ছায়া পড়েছে। এখন দেখা যায়, কেউ-কেউ দলে এসে প্রথমেই এমপি প্রার্থী হতে চায়। এভাবে সংগঠনের নেতৃত্বে আসা যায় না। দল ও দলের আদর্শের প্রতি আকর্ষণ থাকতে হবে।
“আমরা নবীনদের পরামর্শ দিতে চাই, প্রভাব বিস্তার করে যারা নেতা হতে চান বা নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন, তারা এই মানসিকতা পরিহার করুন। দলের জন্য কাজ করে যান। দরদ দিয়ে সংগঠন করুন। মূল্যায়ন হবেই।”
ওই আহ্বায়ক কমিটিতে মির্জা আব্বাস ছাড়াও সাইফুর রহমান, হারিস চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকত উল্লাহ বুলু ছিলেন।
যুব দলের সাবেক সভাপতি মির্জা আব্বাস বলেন, “আমরা যুব দল করেছি। আমাদের মধ্যে আদর্শ ছিল, প্রতিযোগিতা ছিল। কিন্তু নেতৃত্বের জন্য আমরা কখনোই একে অপরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি। ধাক্কা-ধাক্কি করে আমরা রাজনীতিতে আসিনি। অনেক ত্যাগ স্বীকার করে রাজনীতি করেছি।”
এখন অনেকের মধ্যে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
“বর্তমানে অনেকের মধ্যে গায়ের জোরে নেতা হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাদের লক্ষ্য থাকে কিভাবে দল করে এমপি হওয়া যাবে, টাকা বানানো যাবে। তারা দলেই আসেন এমপি প্রার্থী হতে।
“আমরা বলবো, গায়ের জোরে নেতা হতে পারলেও নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা পাবেন না। দলের আদর্শ অনুসরণ করুন। দলই আপনার কাজের যথার্থ মূল্যায়ন করবে,” বলেন তিনি।
দলের শীর্ষ নেতাদের ছবিসহ পোস্টার টাঙিয়ে নেতাকর্মীদের নিজেদের প্রচারণারও সমালোচনা করেন মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, “এখন পোস্টারে পোস্টারে চারদিক ছেয়ে গেছে। রাজনীতিতে প্রবেশ করেই পোস্টার ছাপিয়ে প্রচারণা চালায় অনেকে। দেখা যায়, ওই সব পোস্টারে জিয়াউর রহমানের ছবি ছোট করে আছে, আর নিজের ছবিটা বড়। আমরা যখন যুব দল করেছি কখনোই এরকম দেখিনি।”
১৯৯১ সালের নির্বাচনে যুব দল থেকে ৪৬ জন সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। সে সময় চার জনকে মন্ত্রী করা হয়।
যুব দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বর্তমানে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মুনীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকত উল্লাহ বুলু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, রেদোয়ান আহমেদ, সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, শেখ আতাউর রহমান, সিরাজুল হক, মনসুর আলী খান, গোলাম মহিউদ্দিন খান, আবদুল্লাহ চৌধুরী, হারুন অর রশীদ, শেখ মজিবুর রহমান, খোরশেদ আলম, শফিউল আলম মনা, আবদুস সুবহান, মো. মুজাফফর হোসেন, আবুল হোসেন, জিয়াউল হক ফারুক, যুব দলের বর্তমান সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।