পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকরা এক যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
Published : 27 Oct 2013, 06:11 PM
তারা এক ছাত্রলীগ নেতা ও তার বাবাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এছাড়া জেলা শহরে বিএনপির সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের এবং শহরতলীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ হয়েছে।
সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ১১ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। চার জামায়াত ও পাঁচ বিএনপিকর্মীকে আটক করেছে।
জিয়ানগর থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান, ভোরে জামায়াত-বিএনপি সমর্থকরা দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বালিপাড়া বাজারে আওয়ামী লীগ ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালায়।
প্রথমে তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা হাসপাতালে নেয়ার পথে স্বপনের মৃত্যু হয়।
স্বপন স্থানীয় যুবলীগকর্মী বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান।
ওসি নাসির উদ্দিন মল্লিক আরো জানান, স্বপনের উপর হামলার পর বিএনপিকর্মীরা বালিপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সহসভাপতি বাপ্পি মোল্লা ও তার বাবা আলাউদ্দিন মোল্লাকে কুপিয়ে জখম করে এবং হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়।
তাদের পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বলেন ওসি।
সদর থানার ওসি মো. রাজ্জাক মোল্লা জানান, দুপুর ১২টায় জেলা শহরে যুব ও ছাত্রলীগকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় উভয়পক্ষ দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ বাধা দিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষকারীরা।
এ সময় পাঁচ পুলিশ ও চার সাংবাদিক আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন ডেইলি স্টার প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান, দৈনিক দিনকাল প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম, এসএ টিভি প্রতিনিধি মশিউর রহমান রাহাত ও সংবাদ প্রতিনিধি এ কে আজাদ।
এছাড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান লিয়াকত আলি শেখ বাদশা ও সদস্য সরোয়ার হোসেনও আহত হন।
সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাত রাউন্ড শটগানের গুলি নিক্ষেপ করে।
ওসি আরো জানান, শহরতলি পাঁচপাড়া বাজারে পিকেটার ও পুলিশে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০/১২ জন আহত হয়।
এ সময় পুলিশ ৬ রাউন্ড শটগানের গুলি ও চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করে।