শুক্রবার রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এরশাদ বলেন, “চারদিকে জাতীয় পার্টির জোয়ার উঠেছে। সবাই পরিবর্তন চায়। সামনের নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ জয়ী হবে না।”
জাতীয় পার্টির এই জনপ্রিয়তায় সরকার ‘ভীত’ হয়ে উঠেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “দেশে ত্রাণের জন্য হাহাকার চলছে; আর আওয়ামী লীগের নেতারা ঘরে বসে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন।
“জাতীয় পার্টির জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তারা আবোল-তাবোল বকছে। গতকাল পত্রিকায় দেখলাম, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন- আমি অবৈধ। আমি যদি অবৈধ হই তাহলে আপনারা সবাই অবৈধ।”
অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে সামরিক বাহিনী থেকে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে স্বৈরাচার হিসেবে খ্যাত হওয়া এরশাদ বলেন, “আমাকে স্বৈরাচার বলেন, খুনি বলেন। আমার হাতে কেউ নিহত হয়নি।
“ডা. মিলন, দেলোয়ারকে পেছন থেকে গুলি করা হয়েছিল। আর এখন প্রতিদিন কত মানুষ খুন হয়। পত্রিকার পাতা খুললেই দেখতে পাই খুনের খবর। এর বিচার কে করবে?”
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারান সেই আন্দোলনে পেশাজীবীদের অন্যতম নেতা ডা. শামসুল আলম মিলন। তৎকালীন সামরিক সরকারের লেলিয়ে দেওয়ার বাহিনীকে এ হত্যার পেছনে দায়ী করা হয়।
জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলের চেয়ারপারসন এরশাদ বলেন, “দুই দলের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকেছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে, তাহলেই জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যেতে পারবে।
“তোমরা জনগণের কাছে যাও, দলকে শক্তিশালী কর। আগামী নির্বাচনে আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেব।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী ও দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।