রিজিয়া এখন নৌকার এমপির বউ: ক্রিক

বাবা জামায়াতে ইসলামীর নেতা হলেও মহিলা আওয়ামী লীগে রিজিয়া নদভীর পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে তার স্বামীর পরিচয়ই গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক।

কাজী মোবারক হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2017, 02:11 PM
Updated : 23 July 2017, 04:43 PM

মহিলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিতে রিজিয়ার সদস্য হিসেবে স্থান পাওয়া নিয়ে সংগঠনটির মধ্যেই সমালোচনার মধ্যে রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে একথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবার সহযোগী সংগঠনটির পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করেন, যাতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে ৬৮ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে রিজিয়ার নাম।

রিজিয়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে একাধিকবার জামায়াতের এমপি প্রার্থী এবং দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে।

চট্টগ্রাম কলেজে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রী সংস্থায়ও রিজিয়া যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এখন সাতকানিয়া-লোহাগড়া আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর স্ত্রী। নদভী ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন।

বছরের শুরুতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে রিজিয়ার নাম আসার পর সমালোচনার মুখে পরে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে স্বামীসহ রিজিয়া নদভী; ওবায়দুল কাদেরই মহিলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন

জেলা ডিঙিয়ে এবার ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়ার পরও সমালোচনা এসেছে খোদ সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের মধ্য থেকে।   

এই বিষয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা ক্রিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিজিয়া এখন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে পাস করা সাংসদের স্ত্রী।

“রিজিয়ার বর্তমান পরিচয় বিবেচনা করে আমরা তাকে পদ দিয়েছি। সে আগে কার মেয়ে ছিল, সেটা কি আর এখন আছে, এখন সে আমাদের এমপির বউ।”

রোববার সন্ধ্যায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক ক্রিক ১৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নাম প্রকাশ করেন। সম্মেলনের প্রায় সাড়ে চার মাস পর এই কমিটি হল।

গত ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণের কমিটিতে প্রথমে আসার পর তার জামায়াত পরিচয় নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টির হলে রিজিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আব্বা যেহেতু জামায়াত নেতা, তাই এখন আমাকে কালার করার চেষ্টা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায়। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে কি আমাকে পদ দিত?”

ছাত্রজীবনে ইসলামী ছাত্রী সংস্থায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, “নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়। এরপর রাজনীতি করার সময়-সুযোগ ছিল না। বাবার দিকে না গিয়ে আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি।”

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের চট্টগ্রাম ব্যুরো]