বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে একথা বলেন তিনি।
দুদু বলেন, “গত ১৮ জুন রাঙ্গুনিয়ায় যা হয়েছে, তা হচ্ছে ফ্যাসিবাদের নগ্ন বহির্প্রকাশ। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে এরকম বেআইনি ঘটনা অপ্রত্যাশিত না। এই ঘটনাই প্রমাণ করেছে, দেশে আইনের শাসন নাই। গণ্ডাতন্ত্র, গুণ্ডারাজ চলছে।
“এই ঘটনা আওয়ামী লীগের অতীত চরিত্রের বর্হিপ্রকাশ। এই ঘটনা প্রমাণ করেছে, দেশে গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা বিপন্ন।”
মহাসচিবের গাড়িবহরের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানান এই বিএনপি নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ওই হামলার জন্য আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদকে দায়ী করলেও এ ঘটনায় ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে বিএনপিপন্থি এক আইনজীবীর করা মামলায় তার নাম রাখা হয়নি।
অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে হাছান মাহমুদ প্রথমে বলেছিলেন, মির্জা ফখরুলদের গাড়ির ধাক্কায় স্থানীয় দুজন আহত হলে বিক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা হামলা করে। তবে পরদিন তিনি বলেন, হামলাটি স্থানীয় বিএনপির দুটি অংশের কোন্দলের কারণে হয়ে থাকতে পারে।
হামলার প্রতিবাদে জাতীয় দলের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “তারা যত চেষ্টাই করুক না কেন, যত ভয়ভীতি দেখাক না কেন, মহাসচিব ও দেশনেত্রীর গাড়ির ওপর আক্রমণ করুক না কেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।”
ক্ষমতা হারানো ভয় থেকে সরকারের লোকজনই এসব হামলা করছে বলে দাবি করেন তিনি।
দুদু বলেন, “তারা বুঝে গেছে, পাশ্বর্বতী দেশ তাদের সঙ্গে নাই, ইউরোপিয় ইউনিয়ন তাদের সঙ্গে নাই। আজকে পত্রিকায় দেখবেন, জাতিসংঘ এদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে।
“আওয়ামী লীগ বন্ধুদের বলছি, একদিন হঠাৎ করে দেখবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষ হয়ে গেছে, প্রশাসন নিরপেক্ষ হয়ে গেছে। সকালে উঠে দেখবেন, আপনার আশে-পাশে নেতারা নাই।”
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, “সময় থাকতে হুসে আসুন, সর্তক হোন। যত তাড়াতাড়ি পারেন দেশনেত্রীর সাথে সংলাপে বসুন। আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচনে সহায়ক সরকার কীভাবে গঠন হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু করুন।
“এই আলোচনা শুরু করতে আপনি ব্যর্থ হলে আন্দোলনের মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলন প্রিয়, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য যা কিছু আছে, বার বার তারা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। দেশনেত্রী বলেছেন, ঈদের পরে ফয়সালাটা হবে। সেই ফয়সালা গণতন্ত্রের পক্ষে ফয়সালা, স্বাধীনতার পক্ষের ফয়সালা হবে।”
জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর হোসেন ঈসা, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহা্ম্মদ রহমাতুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।