ঢাকায় ২৬ জানুয়ারি রামপাল-বিরোধী হরতাল সফলের ডাক

সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবিতে ২৬ জানুয়ারির আধাবেলা হরতাল সফল করার আহ্বান জানিয়েছে তেল-গ্যাস খনিজ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2017, 01:06 PM
Updated : 13 Jan 2017, 01:06 PM

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে সুন্দরবন রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের উপর জোর দেনে জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

“সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে বাতিল না করলে পরদিন ২৬ জানুয়ারি ঢাকা মহানগরে সর্বত্র আধাবেলা ধর্মঘট পালন করবে, যাকে আমরা হরতাল বলে জানি।

“বাংলাদেশকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র চলছে তা এই হরতাল কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সারা দেশের মানুষকে জানিয়ে দিতে চাই।”

হরতাল সফল করতে ঢাকা মহানগরের সব নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, “আগামী ২৬ তারিখ আপনারা ব্যক্তিগত গাড়ি বের করবেন না, হেঁটে রাস্তায় আসেন। এটা আপনাদের জন্য একটা বড় সুযোগ এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য।”

সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে পানি, বায়ু ও মাটি ভয়াবহ দূষণের শিকার হবে বলে মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির এই অধ্যাপক।

“প্রায় ৪০ লক্ষাধিক মানুষ জীবিকা হারাবে, উদ্বাস্তু হবে অসংখ্য মানুষ। এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সকলকে প্রতিবাদী হতে হবে। সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই ছাড়া পথ নাই।”

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘কথা ও কাজের মধ্যে মিল নেই’ বলে সমালোচনা করেন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব।

“গতকালও প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন, সকল কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশ সমুন্নত রাখা হবে। কী রকম পরিবেশ সমুন্নত রাখা হয়েছে, তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।

“প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যারা নদী-নালা-খাল-বিল দখল করে তাদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। এই কথার পরে আমরা দেখতে পারছি সারা দেশের নদী-নালা-খাল-বিল সব দখল হয়ে গেছে।

“প্রধানমন্ত্রীর কথা ও কাজের মধ্যে কোনো সঙ্গতি নাই। এমনকি যারা ব্যাংক লুট করে, ব্যাংক থেকে লক্ষ-কোটি টাকা লুট করে তাদের কোনো ধরনের শাস্তির নজির আমরা দেখি না।”

পরে পদযাত্রাটি কদম ফোয়ারা, পল্টন মোড়, জিপিও হয়ে কাকরাইলে গিয়ে শেষ হয়।