স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের ৪৫ বছর পূর্তিতে শুক্রবার সাম্প্রদায়িকতা প্রতিহতের আহ্বান জানিয়ে এই মিছিল করে আওয়ামী লীগ।
বিকাল সোয়া ৩টায় র্যালি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জুমার নামাজের পরপরই নেতাকর্মীরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটউটের ফটকের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন।
বিজয় উদযাপনের এই শোভাযাত্রায় জাতীয় ও দলীয় পতাকার পাশাপাশি হাতি, ঘোড়ার গাড়ি ও দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কেউ কেউ আসেন মুক্তিযোদ্ধার সাজে।
শোভাযাত্রার আগে ট্রাকের ওপর নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছেন, সে বিচার শেষ হবেই।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলে কাজ করার শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিজয় দিবসের সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।
তিনি বলেন, “জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। তবে এ অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে একটি অশুভ চক্র এখনও কাজ করে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
“স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেশের স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরে সরকার কাজ করছে বলে জানান এই মন্ত্রী।