আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিলর হতে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার জামাতা খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতুর নামও প্রস্তাব করা হয়েছে।
Published : 15 Oct 2016, 03:25 PM
সায়মা হোসেন পুতুলের স্বামী মাশরুরকে জেলা থেকে কাউন্সিলর হিসেবে প্রস্তাবের খবরটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা।
মাশরুরের বাবা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। তিনি স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।
আগামী ২২-২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে পুতুলের নাম ইতোমধ্যে কাউন্সিলর হিসেবে এসেছে।
বঙ্গবন্ধুর আরেক মেয়ে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের নামও এসেছে কাউন্সিলর হিসেবে।
বাবার এলাকা রংপুর থেকে কাউন্সিলর হচ্ছেন জয়, ববিকে কাউন্সিলর করছে ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগ। শেখ রেহানা ও তার ভাগ্নি পুতুলকে কাউন্সিলে পাঠাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর কমিটি।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নাতজামাইয়ের সঙ্গে নাতনি পুতুলের নামও কাউন্সিলর হিসেবে পাঠাচ্ছে বলে জানান সুবল সাহা; যদিও পুতুলের নাম আগেই ঢাকা দক্ষিণ কমিটি থেকে পাঠানো হয়।
সুবল বলেন, “ফরিদপুরের কাউন্সিলরদের তালিকা শুক্রবার দলের ঢাকা বিভাগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে। এবারই প্রথম কাউন্সিলর করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নাতনী সায়মা হোসেন পুতুল ও তার স্বামী খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতুকে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এবারই প্রথমে ফরিদপুর জেলার কাউন্সিলর করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে আরও বেশি প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।”
রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মেলনে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষমতা কাউন্সিলরদের হাতেই থাকে। কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কমিটি হবে বলে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন।
এতদিন ধরে দলীয় প্রধান হিসেবে শুধু শেখ হাসিনাই আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর থাকতেন। কাউন্সিলরদের প্রকাশিত তালিকা চূড়ান্ত হলে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, নাতি, নাতনি, নাতজামাইসহ মোট ছয়জনকে দেখা যাবে আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে।