যুক্তরাষ্ট্র থেকে লুই আই কানের নকশা আসার পর সংসদ ভবনের আশপাশ থেকে সব কবর সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
Published : 06 Oct 2016, 06:53 PM
বৃহস্পতিবার সংসদে সংরক্ষিত আসনের সদস্য সেলিনা বেগমের প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান তিনি।
সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমানের কবর রয়েছে, যা সরানোর যে কোনো চেষ্টা ঠেকানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে বিএনপি।
মূল নকশা ভেঙে চন্দ্রিমা উদ্যানে সমাহিত করা হয় রাষ্ট্রপতি জিয়াকে।
এছাড়া সংসদ ভবন এলাকার পশ্চিম-দক্ষিণ সীমানায় কবরস্থান গড়ে তোলা হয়, যেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী খান এ সবুর ও শাহ আজিজুর রহমানের কবরও রয়েছে।
ওই কবরস্থানে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আতাউর রহমান খান, সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়া, লেখক-সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ এবং পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার তমিজউদ্দীন খানের কবরও রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সংসদ ভবন এলাকায় নকশা ভেঙে গড়ে তোলা সব স্থাপনা সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে।
এজন্য লুই আই কানের মূল নকশাটি আনার পদক্ষেপও নিয়েছে, যা এখন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাফেজখানায়।
মন্ত্রী মোশাররফ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র থেকে জানানো হয়েছে, নকশা পাঠানোর প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। নকশা আসার পর পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিএনপি আমলে জিয়াকে দেওয়া স্বাধীনতা সম্মাননাও সম্প্রতি প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। বিএনপি ওই পদক্ষেপেরও সমালোচনা করে আসছে।
জঙ্গি মামলা ১৬৯
সারাদেশে জঙ্গিবিষয়ক ১৬৯টি মামলা রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬০টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৬টি, রাজশাহী বিভাগে ২৭টি, খুলনা বিভাগে ১২টি, বরিশাল বিভাগে ৭টি, সিলেট বিভাগে ৮টি এবং রংপুর বিভাগে ১৯টি।
মন্ত্রী বলেন, “জঙ্গি সংশ্লিষ্ট এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি কৌঁসুলিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব মামলা বিচারাধীন সেসব আদালতে যেন সার্বক্ষণিক বিচারক থাকেন সে বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগ সজাগ দৃষ্টি রাখছে।”
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিচার ত্বরান্বিত করতে ৭ বিভাগীয় শহরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, অধস্তন আদালতের কাজকর্মে গতিশীলতা আনতে ‘ই-জুডিশিয়ারি’ নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বিচার প্রক্রিয়া আরও সহজ, স্বচ্ছ ও গতিশীল হবে।