তিনি বলেছেন, “অর্থমন্ত্রী হাসিতে হাসিতে আশি পার করেছেন। এই সংসদে ৯০ পাতার একটি বাজেট পেশ করেছেন। অত্যন্ত সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় বাজেট দিয়েছেন। তার বাজেট ঘোষণায় আমি বিস্মিত ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।”
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে বাজেট নিয়ে আলোচনায় দাঁড়িয়ে এই প্রশংসা করেন সংসদে বিরোধী দলটির চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ, যার শাসনামলে দুই বার বাজেট দিয়েছিলেন মুহিত।
বক্তব্যে এরশাদ তার সরকারে মুহিতের অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরে বলেন, “উনি আমার সময়ে অর্থমন্ত্রী ছিলেন।”
বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থমন্ত্রী মুহিত গত ২ জুন বাজেট বক্তৃতার শুরুতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদদের কথা স্মরণের সঙ্গে সামরিক শাসক এরশাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, “৩৪ বছর আগে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আমাকে দুটি বাজেট উপস্থাপনের সুযোগ দিয়েছিলেন বলে তার কাছেও আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
অশীতিপর এরশাদ মুহিতের সঙ্গে তুলনা করে আরও বলেন, “তবে আমি কিন্তু হাসিতে হাসিতে আশি পার করতে পারিনি। জেল-জুলুমসহ সব ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে।
“এমন কোনো অত্যাচার নেই, যা আমার ওপর প্রয়োগ হয়নি। তা সত্ত্বেও বেঁচে আছি। দাঁড়িয়ে আছি। আমি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে সংসদে বক্তব্য রাখছি।”
বাজেট আলোচনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে এরশাদ অর্থমন্ত্রী মুহিতের উদ্দেশে বলেন, “আমার সময়ে কোন ব্যাংকে লুট হয়েছে, আপনি বলেন?”