বৃহস্পতিবার মহানগর বিএনপির এক যৌথ সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও মহানগর আহবায়ক মির্জা আব্বাস এই হুঁশিয়ারি দেন।
“আজকে পত্রিকায় দেখলাম, দেশনেত্রীকে কারারুদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলছে। এই আওয়ামী সরকারের পক্ষে অসম্ভব বলে কিছু নাই, মানবতাবোধ বলে কিছু নাই। আমার ধারণা বিষয়টা খুব একটা সহজ হবে না।
“আমি স্পষ্ঠ ভাষায় বলতে চাই, দেশনেত্রীকে গ্রেপ্তারের পরিণাম খুব ভালো হবে না। দেশের মানুষ এটাকে সহজভাবে মেনে নেবে না।”
গত ১৯ মে ঢাকা তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২ জুন আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, সেদিন অনুপস্থিত থাকলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় ১৯ মে মামলায় তার আত্মপক্ষ সমর্থন পঞ্চম দফায় পিছিয়ে যায়।
খালেদার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সেদিন আবারও সময়ের আবেদন করেন। ওই আবেদন শুনে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নতুন তারিখ ঠিক করে দিয়ে ওইদিন খালেদাকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
নয়া পল্টনে সকাল সাড়ে ১১টায় মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের মওলানা ভাসানী মিলনায়তনে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে এই যৌথ সভা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আগামী ৩০ মে ও ১ জুন দুইদিন রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মহানগর বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বরাবরের মতোই খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
এ বিষয়ে নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে এই বিএনপির নেতা বলেন, “আমি খুব খেয়াল করছি, পত্র-পত্রিকায় বিভিন্নভাবে লেখা হচ্ছে বিএনপির বিরুদ্ধে। এখানে-ওখানে গোপন বৈঠকের কথা লেখা হচ্ছে।
“আমি বিশ্বাস করি যে, এটা সবই মিথ্যা। কোনো একটি চক্র আগে থেকেই একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে বিএনপিকে একটা দলাদলি বা গ্রুপিয়ের মধ্যে ফেলার। কোনো একটা কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী এই কাজটা, তারাই চক্রান্তটা করে বেড়াচ্ছে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহানগর নেতা আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কাজী আবুল বাশার ও ইউনুস মৃধা এসময় উপস্থিত ছিলেন।