বিজয়ের মাসের প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজধানী শাহবাগে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে নিয়ে একথা বলেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী আশরাফ।
“পনের অগাস্টের পর যুদ্ধাপরাধীদের দেশে পুনর্বাসন করেছেন জিয়াউর রহমান ও এরশাদ,” বলেন তিনি।
আশরাফ বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ও বিপক্ষের শক্তির বিভাজন বাংলাদেশে ছিল না। ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এ বিভাজনটা ইচ্ছা করেই করা হয়েছে। অনেকেই আমরা এ ফাঁদে পা দিয়েছি।”
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে বলতে গিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসিদের বিচারের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
“এখনও জার্মানিতে হিটলার ও নাৎসিদের নাম নেওয়া হয় না।”
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল আয়োজিত এই সমাবেশে আশরাফ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
“জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমরা শুরু করেছি। আমাদের নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে।”
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নেতারা ১ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ হিসেবে সরকারিভাবে পালনের দাবি জানান।
মন্ত্রী আশরাফ বলেন, “আপনারা দিবসটির সরকারি স্বীকৃতির চেষ্টা করেছেন। আমরাও আপনাদের সঙ্গে একমত। সরকারি স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা আমরা করব, প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলব।”
মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, মহাসচিব (প্রশাসন) এমদাদ হোসেন মতিন, মহাসচিব (কল্যাণ) আলাউদ্দিন, মহাসচিব (অর্থ) শাহ আলম বক্তব্য রাখেন।