নেতাকর্মীরা যাতে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সেজন্য পুরো রাস্তাকে আট ভাগে ভাগ করে সংসদ সদস্যদের অবস্থান নিতে বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলগুলোও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার আগের দিন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানান।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ‘বিচক্ষণ নেতৃত্বের’ স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্যা আর্থ’ এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার (আইটিইউ) পুরস্কার লাভ করায় প্রধানমন্ত্রীকে এই সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগ।
নিউ ইয়র্কে এই পুরস্কার গ্রহণের পর শনিবার দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুরে তার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
নাসিম জানান, রাস্তার প্রথম ভাগে বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত এলাকায় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন, জাহিদ আহসান রাসেল ও ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেবেন।
১৪ দলের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা খিলক্ষেত থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কের পাশে থাকবেন। আওয়ামী লীগের একেএম রহমত উল্লাহ ও সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা তাদের সঙ্গে থাকবেন।
আওয়ামী লীগের সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও সানজিদা খানমের নেতৃত্বে কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে র্যাডিসন হোটেল এবং কামাল আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্বে র্যাডিসন হোটেল থেকে কাকলি মোড় পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবেন নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা থাকবেন কাকলি মোড় থেকে জাহাঙ্গীর গেইট পর্যন্ত সড়কে।
জাহাঙ্গীর গেইট থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, কামরুল ইসলাম ও হাজী মো. সেলিম এবং বিজয় সরণি থেকে গণভবন পর্যন্ত ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অবস্থান নেবেন।
এছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্পটে দাঁড়াবেন বলে আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম জানান।