জুন থেকে কলেজে প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
ভারতীয় সমাজে যেখানে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা বরাবরই অবহেলার শিকার সেখানে অসমতার আর্গল ভেঙে মানবীর এ সম্মান অর্জন রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত দুদিক থেকেই এক মাইলফলক।
তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত কেউই আগে ভারতে এরকম কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে আসীন হননি। আর তাই এ অর্জনে কেবল মানবীই নন উচ্ছ্বসিত সবাই। মানবীর ফেইসবুক পেজ ভরে যাচ্ছে অগণিত অভিনন্দন বার্তায়।
মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের একটি সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। তৃতীয় লিঙ্গভুক্তদের অধিকার অর্জনের আন্দোলনেও তিনি একজন পরিচিত মুখ। তার সাফল্যে গর্বভারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে তৃতীয় লিঙ্গের আন্দোলনকর্মীরা।
গত বছর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের জন্য সংখ্যালঘু অধিকারসহ শিক্ষা, চাকরি ও স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পথ সুগম করে। তখন থেকেই কিছু কিছু কলেজ তাদের আবেদন ফর্মে তৃতীয় লিঙ্গের অপশন চালু করে।
সম্প্রতি কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের প্রিন্সিপালের পদ খালি হলে মানবী এ পদের জন্য আবেদন করেন। তারপর নিয়মমাফিক নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে তিনি চাকরির জন্য মনোনীত হন।
মানবী ২০০৩ সালে লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচার করেন। এরপর থেকেই তার জীবনে নেমে এসেছিল দুর্দশা।নানা বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হয় তাকে। পশ্চিমবঙ্গে পরিচয়ের স্বীকৃতি পেতে ৫ বছর লেগেছে এবং একটি নতুন সরকার আসার পরই তা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবী।