চলতি মাসের শুরুতে দক্ষিণ এশিয়ায় ধর্মীয় চরমপন্থি গোষ্ঠী আল-কায়েদার শাখা চালুর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সিএনএন’র কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে গত মে মাসে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন গুজরাটের সাবেক মুখমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি।
রাজ্যের নেতৃত্বে থাকার সময় বিভিন্ন মুসলিম বিদ্বেষী ভূমিকার জন্য সমালোচনা রয়েছে তার।
গত শুক্রবার সিএনএন’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, “ভারতের মুসলিমরা ভারতেই বসবাস করবে, ভারতের সম্মান রক্ষায় তারা জীবন দেবে, ভারতের জন্য নেতিবাচক কিছু তারা চাইবে না।”
“কেউ যদি ভাবে, ভারতীয় মুসলিমরা তাদের কথায় (আল কায়েদা) উঠবস করবে, তারা ঘোরের মধ্যে রয়েছে।”
সম্প্রতি নতুন এক বিবৃতিতে ভারতের নির্যাতিত মুসলিম জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে তৎপরতা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে আন্তর্জাতিক চরমপন্থি দল আল কায়েদা।
দেশটির কাশ্মির অঞ্চলে ৯০ এর দশকের শুরু থেকে দিল্লির শাসন বিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ওই রাজ্যের মুসলিম জনগোষ্ঠীর একটি অংশ।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ভারতীয় মুসলিমদের বিরূপ মনোভাব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মোদির বক্তব্য সমালোচিত হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে।
ভারতের একশ’ কোটির বেশি জনসংখ্যার ১৫ শতাংশেরও বেশি মুসলিম। ভারতে ১৭ কোটি ৫০ লাখের মতো মুসলিম রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সে হিসেবে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যার বিচারে তৃতীয় বৃহত্তম অবস্থানে রয়েছে ভারত।
ভারতের কিছু কিছু মুসলিম আল-কায়েদার মতবাদের অনুসারি বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মোদি বলেন, ইসলামি চরমপন্থা কেবল একটি নির্দিষ্ট দেশ বা জাতির জন্য হুমকি নয়; বরং সেটা ‘মনবতা ও মনবতাবিরোধীদের’ একটি লড়াই।