দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে বন্যাজনিত ঘটনায় সবচেয়ে বেশি অন্তত ১৭ জন মারা গেছেন।
উত্তর প্রদেশ ও বিহারে বন্যার পানিতে ডুবে, তড়িতাহত হয়ে এবং ঘরবাড়ি ধসে আহত হয়ে আরও অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন।
বিহারের ১২টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব এলাকা থেকে অন্তত ১৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিস্তৃত বর্ষাকালে ভারতে সাধারণত বন্যা হয়ে থাকে। কিন্তু এবারের অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে গঙ্গানদী, এর উপনদী ও শাখা নদীগুলো উত্তর প্রদেশ, বিহার ও মধ্যপ্রদেশের প্রায় ২০টি জেলায় বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিহারে অন্তত ছয়টি নদী বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই রাজ্যের ৮০টি ত্রাণশিবিরে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
রাজ্যের নদীপাড়ের বাড়িগুলো পানিতে ডুবে গেছে। অনেক এলাকায় লোকজন ঘরের চালায়, ছাদে আশ্রয় নিয়েছে।
পাটনা শহরের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আমরা অনেক সমস্যার মধ্যে আছি, সব কিছু পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। খাবার, খাবার পানি বা নৌকা, কোনো কিছুর ব্যবস্থা নেই। কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না।”
উত্তর প্রদেশে গঙ্গানদী বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিচু এলাকায় বসবাসকারী লোকজন এলাকা ছেড়ে উঁচু এলাকায় চলে যাচ্ছেন।
এখানে শ্যাম নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “গত তিনদিন ধরে দ্রুত পানি বাড়ছে। সব ফসলি জমি ডুবে গেছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন পানি আমাদের ঘরে ঢুকতে শুরু করেছে।”