চেতন কোঠারি নামে এক তথ্য অধিকারকর্মীর দাখিল করা পিটিশনের আওতায় ভারতের জাতীয় এইডস নিয়ন্ত্রণ সংগঠন (এনএসিও) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এ তথ্য জেনে তিনি ‘হতবাক’ বলে বিবিসি’কে জানিয়েছেন কোঠারি।
মঙ্গলবার বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে প্রায় ২৯ লাখ মানুষ এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত।
কোঠারির সংস্থা রাইট টু ইনফরমেশন- এর অনুসন্ধানে দেখা যায়, উত্তর প্রদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ (৩৬১ জন) হাসপাতালে রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে এইচআইভি-তে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া, গুজরাটে ২৯২ জন এবং মহারাষ্ট্রে ২৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছে।
রাজধানী দিল্লিতে ২৬৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে রক্ত গ্রহণ করে এইচআইভি সংক্রমিত হন।
কোঠারি বিবিসি’কে বলেন, “এটি সরকার পরিচালিত এনএসিও’র দেওয়া তথ্য। আমার বিশ্বাস, প্রকৃত সংখ্যা এর দ্বিগুণ বা তিনগুণ।”
ভারতের আইন অনুযায়ী, কারও কাছ থেকে রক্ত গ্রহণের আগে তার শরীরে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য সংক্রমণ আছে কিনা তা অবশ্যই পরীক্ষা করে নিতে হয়।
কোঠারি বলেন, “রক্তের এ ধরনের পরীক্ষা করতে ভারতে ১২শ’ রুপি খরচ হয়। যদিও বেশিরভাগ হাসপাতালে আসলে এই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাই নেই। এমনকি মুম্বাইয়ের মত বড় নগরেও মাত্র তিনটি ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতালে রক্তে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে সবচেয়ে বৃহৎ সরকারি হাসপাতালেও এ ব্যবস্থা নেই।”
“এটি খুবই গুরুতর সমস্যা এবং জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।”