এই নিয়মে জোড় সংখ্যার নম্বরপ্লেটধারী ব্যক্তিগত গাড়িগুলো একদিন দিল্লির রাজপথে চলাচল করবে, পরদিন চলবে বেজোড় নম্বরপ্লেটের গাড়ি।
নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হবে। তবে সিএনজিচালিত বাস, ট্যাক্সি বা অটোরিকশা এর আওতায় আসবে না বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ডিজেলচালিত যানবাহনের ধোঁয়া, শহরজুড়ে চলা অবকাঠামো নির্মাণ কাজের ধুলো এবং নগরীর আশেপাশের এলাকায় কৃষি খামারে খড় পোড়ানোর ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিচারে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরীতে পরিণত হয়েছে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি।
কেবল দূষণের কারণেই এ শহরে প্রতি বছর ৬ লাখ মানুষ বিভিন্ন রোগে ভুগে অকাল মৃত্যুর শিকার হয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দূষণের মাত্রা এতোটাই বেড়ে গেছে যে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্ট এ শহরকে তুলনা করেছে গ্যাস চেম্বারের সঙ্গে।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার দিল্লি রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে নম্বরপ্লেটের ভিত্তিতে গাড়ি চলাচলের নিয়ম অনুমোদন করেন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।
পরিবেশবাদীরা দিল্লি রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, পরিস্থিতি্খেন এতোটাই খারাপ যে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
অবশ্য দিল্লির মতো শহরে, যেখানে বিপুল জনগোষ্ঠীর চলচলের জন্য যথেষ্ট গণ পরিবহনের ব্যবস্থা নেই, সেখানে এই নিয়মকে ‘অবাস্তব’ বলেছেন সমালোচকরা।
হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লিতে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৯০ লাখ। প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার নতুন গাড়ি এ শহরে রাস্তায় নামছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ভারত সরকার বলেছে, ২০১৯ সাল থেকে সব যানবাহনের ধোঁয়া নির্গমনের ক্ষেত্রেও পরিবেশসম্মত মানদণ্ড অনুসরণ করতে হবে গাড়ি মালিকদের।