মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “মিডিয়া আজ শক্তিশালী হচ্ছে। আর এই মিডিয়া শক্তিশালী হলে আমাদের সমাজ শক্তিশালী হবে, সমাজ বদলে যাবে।
“সমাজ পরিবর্তন করতে মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। এই মিডিয়ার শক্তি নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
দেশ গঠনে সাংবাদিকদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে মেয়র আনিসুল বলেন, “সাংবাদিকদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছি। এই সাংবাদিকরাই আমাদের প্রধান শক্তি। কারণ সংসদে যখন শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকে তখন এই সাংবাদিকরাই শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বর্তমান নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, “অনেক আগে থেকেই আমি নির্বাচনের সাথে জড়িত। যারা নির্বাচন করছেন তাদেরকে স্বাগতম, আরা যারা বিদায় নিচ্ছেন তাদেরকে অভিনন্দন।”
উদ্বোধনীর বক্তব্যে তরুণ সাংবাদিকদের কাজের প্রশংসা করে তাদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনের উদ্যোগ নিতে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা উত্তরের এই মেয়র।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে দুর্নীতি মুক্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, “মেয়র অফিসকে কেউ পছন্দ করে না। কারণ সব অফিসেই দুনীতি আছে। এদের মধ্যে মেয়র অফিসে দুনীতি একটু বেশি। আমরা চেষ্টা করছি দুনীতি কমাতে।
“তবে মেয়র হওয়ার আগে মেয়রে ক্ষমতা কতটুকু তা আমি জানতাম না। তাই না জেনে অনেক কথা দিয়েছিলাম। অনেক কিছুই আমার এখতিয়ারের বাইরে। তবে ঢাকা শহরকে সুন্দর করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
সিটি করপোরেশনের কাজের মান বেড়েছে দাবি করে আনিসুল হক বলেন, “আমরা আমাদের সকল কাজের মান বৃদ্ধি করতে পেরেছি। কারণ এলাকায় মাস্তানির দিন শেষ। এলাকায় এখন আর মাস্তানি হয় না।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুমি খানসহ অন্যান্য কার্যনিবাহী সদস্যরা।